নিউজবাংলা: ২৩ নভেম্বর-সোমবার:
ঢাকা: কোন মুসলমান মারা গেলে তার আত্মার শান্তির জন্য বিশেষভাবে কিছু দোয়া করা হয়। ওই বিশেষ প্রক্রিয়ায় দোয়া করার নাম জানাযার নামাজ।
জানাযার নামাজ পড়া মুসলমানদের ওপর ফরযে কেফায়া বা আবশ্যকীয় দায়িত্ব। কোনো এলাকা বা গোত্রের পক্ষ থেকে একজন আদায় করলে সকলের পক্ষ থেকে তা আদায় হয়ে যায়। কেউ আদায় না করলে সবাই গোনাহগার হয়। গুরুত্ব ও ফজিলত: ইসলাম ধর্মে জানাজার নামাজের অনেক গুরুত্ব ও ফজিলত রয়েছে। এই নামাজের ফজিলত সম্পর্কে সাহাবি হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানের জানাজায় অংশগ্রহণ হয়ে নামাজ পড়ে এবং তাকে কবরও দেয় সে দুই কিরাত নেকি পাবে। আর যে ব্যক্তি শুধু জানাজার নামাজ পড়ে কিন্তু মাটি দেয় না, সে এক কিরাত নেকি পাবে।’ সাহাবায়ে কেরাম রাসুলুল্লাহ (সা.) কে জিজ্ঞাসা করলেন, দুই কিরাতের পরিমাণ কতটুকু? তিনি বললেন, প্রত্যেক কিরাত উহুদ পাহাড় সমান নেকি (বুখারি, মুসলিম)। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যারা আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরিক করেনি, যদি কোনো মুসলমানের জানাজায় এমন চল্লিশজন লোক অংশ নিয়ে মৃতব্যক্তির জন্য দোয়া করে, তাহলে আল্লাহ তায়ালা তাদের সুপারিশ নিশ্চয়ই কবুল করবেন’ (মুসলিম, মিশকাত)। তিনি আরো বলেছেন, তিন কাতার (লোক) যার জানাজা পড়ল, সে (জান্নাত) ওয়াজিব করে নিল’ (আবু দাউদ, তিরমিযি)। তাই সময়-সুযোগ থাকলে জানাজার নামাজে শরিক হতে আমরা অবহেলা করব না। আয়েশা রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে মৃতের জানাযার নামায একটি বড় জামাআত পড়ে, যারা সংখ্যায় একশ’ জন পৌঁছে এবং সকলেই তার ক্ষমার জন্য সুপারিশ করে, তার ব্যাপারে তাদের সুপারিশ গ্রহণ করা হয়।’’
নিউজবাংলা/একে
Comments
comments