পাটিগাছ চাষ করে প্রতি বিঘা জমিতে লক্ষাধীক টাকা উপার্জন করছেন চাষীরা

নিউজবাংলা: ০৩ নভেম্বর:

এস,এম.নজরুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ থেকে:

সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার ধানগড়া ইউনিয়নের নিজপাড়া গ্রামের হাসান আলী (৪৬) নিজ পরিত্যাক্ত এক বিঘা জমিতে এক বছর পূর্বে লাগিয়ে ছিলেন পাটিগাছ। আর সেই পরিত্যাক্ত জমি থেকে পাটিগাছ লাগিয়ে আয় হচ্ছে প্রতি বছর। শীতল পাটি সাথে আমরা কম -বেশী সবাই পরিচিত। আর যে গাছ দিয়ে শীতল পাটি বানানো হয় তার নাম পাটিগাছ বা গ্রামের ভাষায় প্যাততা গাছ। গরমে আরামদায়ক বলে শীতল পাটির সর্বত্তই কদর আছে। দেশের বাহিরে শীতল পাটির বাজার খুবই ভালো। পাটিগাছ দেখতে নলের মতো। পাতাগুলো দেখতে সবুজ ছোট ছোট। মাটির নিচে পাটিগাছের শিকড়যুক্ত অংশকে মোথা বলো। পাটিগাছের কান্ড মাটির নিজ হতে ৩ থেকে ৫ হাত গিটহীন লম্বা হয়। কান্ড থেকে বেতি তুলো শীতল পাটি বানানো হয়। পাটিগাছের শাখা থেকে একটি করে সরল পাতা গজায়। পাতায় সরু নলের মতো বোটা থাকে। পাটিগাছ মাঘ-ফাল্গুন মাসে সাদা রংগের ফুল ফোটে। রায়গঞ্জ উপজেলার লাহর, তেলেজানা, চরতেলিজানা নিজপাড়া, আটঘড়িয়া, বিলচন্ডি ,নিরচিন্তপুর সহ বেশ কিছু গ্রামে চাষ হচ্ছে এই পাটিগাছ। বাড়ির সীমানায় বেড়া হিসেবে পড়ে থাকা পতিত জমিতে, বসতবাড়ীর অব্যবহৃত জায়গায়, পুকুর ,খাল, নদী ডোবার পাড়ে ইত্যাদি জায়গায় পাটিগাছ চাষ করা যায়। সাধারনত চারা তৈরী, রোপন ও ঝাড় হওয়া পর্যন্ত পরিচর্যার প্রয়োজন। জমিতে সামান্য সার দিতে হয়। ঝাড় বা বাগান পরিস্কার রাখতে হবে। পাটিগাছের তেমন কোন রোগ বালায় নাই। পাটিগাছের বাকলের ওপরের অংশ দিয়ে দামি শীতল পাটি এবং মাঝের অংশ দিয়ে কম দামের শীতলপাটি তৈরী করা হয়। গাছ চিকন করে কেটে বেতী তৈরী করা হয়। একেকটি গাছ তিনটি করে ফালি কাটা হয়। ফালির প্রথম অংশেকে নেল বলে। শেষ অংশকে বটকা ব্যবহিত হয় জ¦ালানি হিসেবে। ধানগড়া ইউনিয়নের নিজপাড়া গ্রামের হোসেন আলী (৩৮), শাহিদ(৩৫), দেলবার আলী(৫০), গোলবার (৪০) সহ আরো বেশ চাষী গড়ে তুলেছেন এই পাটি বাগান । দুই বছরের মধ্যে সামান্য খরজে পাটিগাছ থেকে প্রতি ডিসিমালে ৩ হাজার টাকা করে আয় পাওয় যায়।

নিউজবাংলা/একে

Share This:

Comments

comments

Previous: সিরাজগঞ্জে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
Next: রাজশাহীর পদ্মার ধার কাঁটা তারের বেড়ায় আবদ্ধ হতে চলছে, চারিদিকে ক্ষোভ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*