Breaking News
  • টাঙ্গাইলে আন্তঃ জেলা ডাকাত দলের ১০ সদস্য গ্রেফতার
  • রাজশাহীর চারঘাট পৌরসভা নির্বাচনের হাওয়া: সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীরা চষে বেড়াচ্ছেন এলাকা
  • রাজশাহীর মোহনপুরে আ’লীগের দুই গ্রুপের উত্তেজনা: ১৪৪ ধারা জারি
  • রাজশাহীর দূর্গাপুরে সাপের কামড়ে এক ব্যাক্তির মৃত্যু
  • ৫ লাখে প্রশ্ন ফাঁস

রৌমারীতে টাকা নিয়ে মাকর্সীট দেয়ার অভিযোগ

নিউজবাংলা: ৩০ অক্টোবর, শুক্রবার:

সাখাওয়াত হোসেন সাখা:

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার দাঁতভাঙ্গা হাইস্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষকের বিরুদ্ধে মাকর্সীটের জন্য অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগ উটেছে। অনার্স ভর্তির জন্য মাকর্সীট আনতে গেলে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের কাছে এক ‘শ’ পঞ্চাস টাকা করে নেয়া হয়। ওই কলেজ থেকে পাশ করা শিক্ষার্থী মাহবুবা পারভীন জানায়, মাকর্সীটের জন্য কলেজ অফিস সহকারি গোলাম শহিদ এক‘শত’ পঞ্চাস টাকা চায়। সঙ্গে টাকা না থাকায় আবার বাড়ী থেকে এনে মাকর্সীট নিতে হল।
ঐ শিক্ষার্থীনি মাহবুবা পারভীন বলেন, ” আমার বাবা এক মণ ধান বেচে সাড়ে তিনশ টাকা পান। ” মাকর্সীটের জন্য ১৫০ টাকা দিতে হল। যারা গরিব তাদের কী অবস্থা হবে?” এ ব্যাপারে অফিস সহকারি গোলাম শহিদ বলেন, টাকা নেওয়ার ব্যাপারে তারা বলেন, এই টাকা নেওয়ার জন্য অধ্যক্ষ বলেন। ” এটা অধ্যক্ষের নির্দেশ।” অন্যদিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার অনেক স্কুল ও কলেজের মাকর্সীটের জন্য কোন টাকা নেওয়া হচ্ছে না। বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের প্রধান শিক্ষক ও অধ্যক্ষ বলেন, বোর্ডের কোনো নির্দেশ না থাকায় তারা শিক্ষার্থীদের কাছে এ ব্যাপারে টাকা নিচ্ছেন না।

এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রেজাউল কবীর বলেন,‘‘ মাকর্সীটের বিনিময়ে টাকা নিতে হবে এমন কোন নির্দেশনা বোর্ড থেকে দেওয়া হয়নি। ”তবে প্রশংসাপত্র ছাপাতে যেহেতু টাকা লাগে এ জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ ২০ টাকা করে নিতে পারে।” ব্যাপারটি তিনি খতিয়ে দেখবেন বলে জানান। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বিএসসি বলেন,‘‘ এই অধ্যক্ষ যখন এই প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব নিয়েছে তখন থেকে দূর্নীতি শুরু হয়েছে। আর দরিদ্র ও অবহেলিত ছাত্র/ছাত্রীর কাছ থেকে বিভিন্ন ভাবে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। তিনি আরো বলেন, বোর্ডের কোন নির্দেশ নেই যে মাকর্সীটের টাকা নিতে হবে। কিন্তু বোর্ডের নির্দেশ তোয়াক্কা না করে ঐ দূর্নীতির র্শীষ অধ্যক্ষ বদ্দিউজ্জামান এবং সামান্য মাকর্সীটের বিনিময়ে এই টাকা নেওয়া হচ্ছে।’’ স্কুল ও কলেজের উন্নয়নের জন্য মাকর্সীটের বিনিময়ে টাকা নেওয়ার ব্যাপারে বোর্ডেও কোন নির্দেশ আছে কিনা জানতে চাইলে ঐ স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ বদ্দিউজ্জামান এর সঙ্গে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কথা বললে এক পর্যায়ে মোবাইল ফোনের লাইন কেটে দেন।

নিউজবাংলা/একে

Share This:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*