Breaking News
  • ভিক্ষা চাওয়ায় নাবালককে লাথি মারলেন মন্ত্রী!
  • নির্বাচনে এরদোগানের একেপির নিরঙ্কুশ বিজয়
  • দেশ চালাচ্ছে ‘লেডি হিটলার’ … লন্ডন জনসভায় খালেদা জিয়া
  • ‘দেশে এখন খুনিরা নিরাপদ’ আতংকগ্রস্ত সাধারণ মানুষ ….এরশাদ
  • সংসদ পুতুল নাচের নাট্যশালা: টিআইবি ব্যাখ্যা দিল

সমাপনীর শিশুরাও সামাজিক অবক্ষয়ের শিকার: প্রয়োজন স্থানীয় মাতাব্বরদের ইতিবাচক ভূমিকা

নিউজবাংলা: ৩০ অক্টোবর, শুক্রবার:

মো. নজরুল ইসলাম:

বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম সওগাত পত্রিকায় একটি সংবাদের শিরোনাম করেছিলেন ‘ইতরের ইতরামি’। ‘ইতরের ইতরামি’ কিন্তু আজও বন্ধ হয়নি বরং ইতরদের ইতরামি আরো বেড়েছে। সামাজিক অবক্ষয়ের মধ্যে ধর্ষণ ও বাল্যবিয়ে বর্তমান সমাজে ক্যান্সারে রূপ নিয়েছে। ধর্ষণ তো ধর্ষণই আরো সেটা যদি হয় শিশু ধর্ষণ মারাত্বক সামাজিক অবক্ষয়। সমাজের কোন কোন ইতর সমাপনী পরীক্ষার্থী একটি মেয়েকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গাছের সাথে আঘাত করে অচেতন অবস্থায় ধর্ষণ করে, কোন কোন ইতর টাকার লোভে সেই ধর্ষককে শাস্তির আওতায় আনা থেকে সহযোগিতা করে, আবার কোন কোন ইতর অন্য শিশুকে বাল্যবিয়ে পড়িয়ে ইতরামি করছে।

ইতরের ইতরামি বন্ধ করার উদ্যেশ্যে আমাদের পক্রিকাগুলো ধর্ষণের খবর ফলাও করে প্রচার করে। কিন্তু যে সরিষা দিয়ে ভূত ছাড়াবে সেই সরিষাতেই ভূত! আইন প্রয়োগকারি সদস্য এবং স্থানীয় মাতাব্বদের রহস্যজনক ভূমিকা ইতরের ইতরামি বন্ধকরণ প্রক্রিয়ায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।

টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার শালিয়াবহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সমাপনী পরীক্ষার্থী জহুরা খাতুন (ছদ্বনাম) গত ৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় একটি বিতর্কিত স্থানে ধর্ষণ হয়। একই বিদ্যালয়ের নুরজাহান আক্তার নামের আরেক পরীক্ষার্থীর বাল্যবিয়ে হয়ে পরীক্ষা দেয়া বন্ধ হয়ে যায়। দু’টি ঘটনাই এলাকার সচেতন ব্যক্তিদের ভাবিয়ে তুলছে।

জহুরা ঈদের ছুটিতে সনধানপুর ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের বোন জামাই বাড়ি থেকে শালিয়াবহ নিজ বাড়িতে ফেরার পথে পিছু নেয় রামপুর গ্রামের আব্দুল কদ্দুসের ছেলে মকবুল হোসেন (৩০)। সন্ধ্যার অন্ধকার নেমে আসলেই মকবুল জহুরার মুখ চেপে ধরে শরীফের পুকুরপাড় নামক একটি বিতর্কিত স্থানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। কিন্তু জহুরা রাজি না হওয়ায় বাগানের আকাশমনি গাছের সাথে মেয়েটির মাথায় আঘাত করে মকবুল। অচেতন অবস্থায় মকবুল জহুরাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে ফেলে চলে যায়। জ্ঞান ফিরলে মেয়েটি আস্তে আস্তে বাড়িতে গিয়ে অভিভাবকের কাছে ঘটনা খুলে বলে। জহুরার অবস্থার অবনতি হলে তারা রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করান। ১২ অক্টোবর ধর্ষিতা বাদী হয়ে ঘাটাইল থানায় একটি মামলা করে। (মামলা নং ০৯/১৫)

ধর্ষিতার বাবা আনছের আলি জানান, আমি আমার মেয়ের সর্বনাশকারির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

শালিয়াবহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.রফিকুল ইসলাম জানান, শিশু ধর্ষণ ও বাল্যবিয়ে আমাদের সমাজে বর্তমানে বেড়েই চলেছে। আমার বিদ্যালয়ের যে মেয়েটির বাল্যবিয়ে হয়ে গেল তার বাবা-মাকে আমরা অনুরোধ করেছিলাম আপাতত ওকে সমাপনী পরীক্ষাটা দিতে দেন। কিন্তু তারা তা শোনেনি।

শালিয়াবহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মো.আতিকুর রহমান (আরিফ) জানান, বাল্যবিয়ে এবং শিশু ধর্ষণ বন্ধ করতে আমি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। তিনি জানান, স্থানীয় মাতাব্বরদের ইতিবাচক ভূমিকা বাল্যবিয়ে এবং শিশু ধর্ষণের মত সামাজিক অবক্ষয়ের প্রতিরোধে অনেকটা সহায়ক হতে পারে।

মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (ধলাপাড়া ফাঁড়ির ইনচার্জ) মো.শাহিন আলম জানান, আসামীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। প্রাথমিক অবস্থায় ধর্ষষ চেষ্টার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

 

নিউজবাংলা/একে

Share This:

Previous: ৪০ গজ দূর থেকে স্কুলবালিকার গোল!
Next: একবার নয়, দুইবার নয়, এভাবে বহুবার সে আমাকে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*