নিউজবাংলা: ২১ নভেম্বর-শনিবার:
ঢাকা: ফ্রান্সের কর্মকর্তারা বলছেন বুধবার প্যারিসের শহরতলীর একটি ফ্ল্যাটে যে অভিযান চালানো হয়েছে সেখানে আত্মঘাতী বোমারু কোন নারী ছিলেন না। আত্মঘাতী বোমারু একজন পুরুষ ছিল বলেই ধারনা করা হচ্ছে।
যদিও এর আগে বলা হয়েছিল সেই ফ্ল্যাটে অভিযানের সময় হাসনা আইটবুলাসেন নামের এক নারী একজন আত্মঘাতী বোমারু বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিলেন। কিন্তু এখন পুলিশ সেই বক্তব্য থেকে সরে এসেছে। মনে করা হচ্ছে, ২৬ বছর বয়সী হাসনা আইটবুলাসেন আত্মঘাতী বোমারু ছিলেন না। সেই ফ্ল্যাটে শুক্রবার তৃতীয় আরো একজনের মৃতদেহ পাওয়া গেছে। তবে তার পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। প্যারিসের শহরতলীর যে ফ্ল্যাটকে ঘিরে জঙ্গিদের সঙ্গে পুলিশের তীব্র লড়াই চলেছে, সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় হাসনা আইটবুলাসেনের মৃতদেহ। পুলিশের ধারণা করেছিল, একটি আত্মঘাতী বোমার বেল্ট বাঁধা ছিল তার শরীরে। এই অভিযান চলার সময় এক পর্যায়ে সেই বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। ধারনা করা হচ্ছে, হাসনা আইটবুলাসেন হচ্ছেন প্যারিসের সন্ত্রাসী হামলার ‘মূল হোতা’ আবদেলহামিদ আবাউদের দূর সম্পর্কিত। বুধবারের অভিযানে আবদেলহামিদ আবাউদ নিহত হয়। হাসনা আইটবুলাসেনের যেভাবে আত্মঘাতী বোমারু হিসেবে বর্ণনা করা হচ্ছিল, সেটি নিয়ে আগেই সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন তার ঘনিষ্ঠ একজন বান্ধবী। হাসনা আইটবুলাসেনের সাথে স্কুলে পড়াশোনা করেছেন খেমিসা। তিনি বলছেন, ‘হাসনা জীবনকে ভালোবাসতো। আমার মনে হয় না আত্মঘাতী বোমারু হওয়ার কোন ইচ্ছে ওর ছিল। কেউ হয়তো শেষ মুহুর্তে ওকে প্রভাবিত করেছে।” ফ্রান্স এলিট পুলিশের যে দলটি প্যারিসের শহরতলীতে সে পরিচালনা করেছিল, সে দলের প্রধান বলেন তারা যখন ফ্ল্যাটের কাছাকাছি যান তখন একজন নারীর কণ্ঠ শোনা যায়। সেই নারী নিজেকে উড়িয়ে দেবার হুমকি দিয়েছিল বলে তিনি জানান।-বিবিস
নিউজবাংলা/একে
Comments
comments