নিউজবাংলা: ২২ নভেম্বর-রবিবার:
ঢাকা: ফাঁসি কার্যকর করার সময় বেশ কয়েকজন কারা কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। শাহজাহান ও রাজু জল্লাদের নেতৃত্বে ছয়জন জল্লাদ প্রস্তুত ছিলেন। ফাঁসির আগে সাকা চৌধুরী সরকারকে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করেন। তাছাড়া তিনি বলেন, ‘আমি কোনো অন্যায় করিনি। ঈর্ষান্বিত হয়ে শেখ হাসিনা আমাকে ফাঁসিতে ঝোলাচ্ছে।
তার বিচার আল্লাহ করবে।’ জানা গেছে, রাত ১২টা ৪০ মিনিট থেকে ৪৫ মিনিটের দিকে তাঁদের দুজনকে কনডেম সেল থেকে বের করা হয়। মুজাহিদ বলেন, ‘আমি কোনো অন্যায় করিনি। এর বিচার আল্লাহ করবে।’ ১২টা ৫০ থেকে ৫১ মিনিটে তাঁদের দুজনকে ফাঁসির মঞ্চে নেওয়া হয়। ফাঁসির মঞ্চের লিভারের দায়িত্বে ছিলেন জল্লাদ শাহজাহান। মুজাহিদ প্রথমে জমটুপি পরতে চাননি।
বলেছেন, ‘আমার কোনো অসুবিধা হবে না। জমটুপি পরাতে হবে না।’ কিন্তু কারা কর্তৃপক্ষ তাঁকে বলে, রীতি অনুযায়ী তাঁকে জমটুপি পরতেই হবে। পরে তিনি জমটুপি পরেন। ফাঁসির কাষ্ঠে ওঠার আগে সাকা ও মুজাহিদ দুজনই কলেমাসহ বিভিন্ন দোয়া-দরুদ পড়তে থাকেন। মঞ্চে ওঠার আগে তাঁরা দুজনে অজু করেন। দুই রাকাত নফল নামাজ পড়েন।
রাত ১২টা ৫৫ মিনিটে তাঁদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। ডিবির উপপরিদর্শক নাজমুল আলম জানান, তাঁদের দুজনকে একই মঞ্চে একই লিভারে ফাঁসি দেওয়া হয়। এ সময় তাঁরা দুজনই স্বাভাবিক ছিলেন। ফাঁসি কার্যকরের সময় তাঁরা দুজনই চিৎকার করে ওঠেন। ১৫ মিনিটের মতো তাঁদের ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে রাখা হয়। এরপর নামিয়ে এনে পায়ের রগ কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়।
নিউজবাংলা/একে
Comments
comments