নিউজবাংলা: ২৫ নভেম্বর-বুধবার:
ঢাকা: সিলেট ও খুলনার চাঞ্চল্যকর রাজন, রাকিব হত্যা মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হাইকোর্টে দ্রুত গতিতে চলছে পেপারবুক তৈরির কাজ।
এ কাজ দ্রুত করতে অতিরিক্ত জনবলও নিয়োগ করেছে হাইকোর্ট কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে পুলিশের বিশেষ শাখার কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমান হত্যা মামলাতেও পেপারবুক তৈরি হচ্ছে।
বিষয়টি বাংলামেইলকে জানিয়েছেন, হাইকোর্টের অতিরিক্ত রেজিস্টার সাব্বির ফয়েজ।
তিনি বলেন, ‘প্রধান বিচারপতির নির্দেশক্রমে রাজন ও রাকিব হত্যা মামলার পেপারবুক তৈরি করছি।’ একইসঙ্গে ঐশির মামলার পেপারবুকও তৈরির কাজ চলছে। এজন্য একজন অতিরিক্ত কম্পিউটার ম্যানও নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, অতিদ্রুত এই হত্যা মামলাগুলোর পেপার বুক তৈরি করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
এগুলো প্রস্তুত করতে প্রায় একমাস সময় লাগতে পারে বলে জানান হাইকোর্টের এই অতিরিক্ত রেজিষ্ট্রার। তিনি বলেন, সাধারণত অন্য মামলার চেয়ে এ চাঞ্চল্যকর মামলাগুলোর পেপার বুক তৈরিতে অনেক গুরুত্ব দিচ্ছে হাইকোর্ট। এ জন্য একজন এক্সট্রা কস্পিউটার ম্যান আমরা নিয়োগ করেছি। এগুলো তৈরিতে একমাস সময় লাগতে পারে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঐশীর মামলার পেপারবুকও এই সময়ের মধ্যেই তৈরি হবে। তবে কত পৃষ্ঠার এই পেপারবুক তৈরি হবে তা নির্দিষ্ট করে বলতে পারেননি অতিরিক্ত রেজিষ্ট্রার।
গত বুধবার রাজন ও রাকিব হত্যা মামলার পেপারবুক তৈরির জন্য নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা। সেই নির্দেশক্রমেই এই পেপারবুক তৈরির কাজ চলছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট গৌরাঙ্গ চন্দ্র কর বাংলামেইলকে বলেন, ‘নিম্ন আদালতের রায় ঘোষণার পর থেকে ৩০ দিনের মধ্যে ডেথ রেফারেন্স উচ্চ আদালতে পাঠাতে হবে। এরপর তৈরি করতে হয় মামলার পেপারবুক। তবে পেপার বুক তৈরিতে কতোদিন সময় লাগবে সেটি আগেই নির্ধারণ করে বলা কঠিন।’
তিনি বলেন, কোনো হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্সের কপি উচ্চ আদালতে এলে পেপারবুক তৈরি করার পর মামলার কোনো পক্ষ আপিল করলে শুনানি শেষে উচ্চ আদালত চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করেন। তারপরই রায় কার্যকরের সময় এসে যায়।
প্রসঙ্গত, বহুল আলোচিত সিলেটের শিশু রাজন এবং খুলনার রাকিব হত্যা মামলার রায় ঘোষণা হয় গত ৮ নভেম্বর। রায়ে দুই মামলায় ৬ জনকে ফাঁসির দণ্ড দেন আদালত।
অপরদিকে পুলিশের বিশেষ শাখার কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমান হত্যা মামলায় তাদের মেয়ে ঐশী রহমানকে গত ১৩ নভেম্বর মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আদালত।
নিউজবাংলা/একে
Comments
comments