নিউজবাংলা: ১৯ নভেম্বর, বৃহঃবার:
বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি:
সিলেটের বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ রফিকুল হোসেনের বিশ্বনাথ থানায় যোগদানের দুই বছর আজ বৃহস্পতিবার পূর্ণ হলো।
ওসির যোগদানের দুই বছর পূর্তি উপলক্ষে থানার কর্মরত অফিসারদের উদ্যোগে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় থানা কম্পাউডের ভিতরে কেক কেটে দুই বছর পূর্তি অনুষ্ঠান পালন করা হয়। এর আগে এভাবে আর কোনো ওসির যোগদান পূর্তি অনুষ্ঠান পালন করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) রুহুল আমিন, থানার অফিসার ইন-চার্জ রফিকুল হোসেন, ওসি (তদন্ত) মাসুদুর রহমান, এস আই ফিরোজ আলী, দ্বিপন চন্দ্র সরকার, কল্লোল, পিএস আই রেজাউল করিম, ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ মোস্তাক আহমদ, বিশ্বনাথ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম জুবায়ের, বর্তমান কমিটির কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী শিপন, সদস্য নূর উদ্দিন, আবুল কাশেম, সাংবাদিক মামুনুর রশিদ মামুন প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ১৯ শে নভেম্বর বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ রফিকুল হোসেন থানায় যোগদান করেন।
খোঁজ নিয়ে জানাযায়, দুই বছর পূর্বে থানায় এলাকার লোকজন শুধু অভিযোগ নিয়ে আসা-যাওয়া করতেন। থানার পরিবেশ ছিলনা ভাল। কিন্তু বিশ্বনাথ থানায় ওসি মো.রফিকুল হোসেন যোগদানের পর থানা কম্পাউডের চিত্র অনেকটা পাল্টে যায়। প্রশাসনিক কার্যক্রমের অনেক পরিবর্তণ হয়। পূর্বে থানা কম্পাউড আর বর্তমান থানা কম্পাউডে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। ওসি’র নিজ উদ্যোগে থানার পরিবেশ পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়েছে বলে থানা পুলিশের অনেকেই জানান।
এলাকাবাসী জানান, বিশ্বনাথ থানার ওসি রফিকুল হোসেন থানায় যোগদান করে অনেক চকম সৃষ্টি করেন। তার বিভিন্ন দিক এলাকাবাসীর ভাল লেগেছে। এখন থানার পরিবেশ আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক ভাল। তার প্রচেষ্টায় থানা কম্পাউন্ডের ভিতরের পরিবেশ ভাল হয়েছে। ফুল-সবজি বাগান দেখে অনেকেই মূগন্ধ। বিশ্বনাথ থানা এখন একনজর দেখার জন্য এলাকাবাসীকে তারা আহবান জানান।
থানায় গিয়ে দেখা যায়, থানা কম্পাউডের প্রধান গেইটের পাশে রয়েছে সুগন্ধ একটি ফুলে বাগান। তার পাশের রয়েছে গাড়ি রাখার নতুন একটি গেরেজ। থানা কম্পাউডের ভিতরের পাশের সবজি বাগান রয়েছে। এর আগে থানা কম্পাউডের ভিতরে শুধু ময়না আর্বজনা পড়ে থাকত। থানা কম্পাউডের ভিতরের অনেক পরির্বতন লক্ষ করা যায়। আগে যেখানে দালালদের পদচলায় মূখরিত ছিল থানা কম্পাউড,এখন দালাল ও ধুমপান মুক্তি এলাকা হিসেবে পরিচত রয়েছে। ওসির নিজ উদ্যোগে প্রবাসীর অর্থায়নের থানায় বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা।
যুক্তরাজ্য প্রবাসী আমির আলী বলেন, বিশ্বনাথ থানার পরিবেশ এভাবে এত পরিবর্তন হবে কখনও কল্পনা করিনি। থানার পরিবেশ দেখে আমি মুগ্ধ।
ব্যবসায়ী বাবুল মিয়া বলেন, আগে থানার পুকুর থেকে প্রতিদিন চায়ের জন্য পানি আনতে যেতাম। কিন্তু দূগন্ধের জন্য যেতে অনেক কষ্ট হত। এখন থানার পরিবেশ অন্য কোনো সময়ের চেয়ে অনেক ভাল।
থানার অফিসার ইন-চার্জ মো.রফিকুল হোসেন বলেন, আমার চাকরি জীবনে বিভিন্ন থানায় এভাবে সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি করতে সক্ষম হই। ফলে বিশ্বনাথ থানায় যোগদানে পর থানার পরিবেশের অনেক পরিবর্তন হয়েছে। এতে ওই এলাকার প্রবাসী ও বিত্তবানদের অবদান বেশি। তাদের সহযোগিতায় থানার এ পরিবেশ সৃষ্টি করতে পেরেছি। অনেকেই এখন নিজ ইচ্ছায় থানা কম্পাউন্ড দেখতে আসেন। এতে খুব ভাল লাগে।
নিউজবাংলা/একে
Comments
comments