নিউজবাংলা: ২৩ নভেম্বর-সোমবার:
পাইকগাছা প্রতিনিধি:
পুলিশের ওপর হামলা-মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ও খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মঞ্জু খুলনা মহানগর হাকিমের আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালতের বিচারক মোঃ আমিরুল ইসলাম শুনানী শেষে জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
আদালত সুত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ২৬ নভেম্বর নগরীর পাওয়ার হাউজ মোড়ে বিএনপির কর্মসূচি চলাকালে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় থানার এসআই অনুকুল চন্দ্র ঘোষ বাদী হয়ে দন্ড বিধি ও বিস্ফোরক আইনের ৩/৫ ধারায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আশরাফুল আলম কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, খুলনা নগর বিএনপি সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু এবং নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও খুলনা সিটি কর্পোরেশনের বরখস্তকৃত মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনিসহ ৫২ জনের বিরুদ্ধে গত ৩০ এপ্রিল আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
রোববার আদালত এ মামলায় নজরুল ইসলাম মঞ্জুসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। এর আগে নগরীর পিটিআই মোড়ে ইজি বাইক ভাংচুর মামলায় গত ১৬ নভেম্বরও আদালত মঞ্জু ও মনিরুজ্জামান মনিসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন এ নিয়ে দু’টি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা মাথায় নিয়ে ফেরারি হন নগর বিএনপি’র এ দুই শীর্ষ নেতা। আসামি পক্ষের আইনজীবী এড. গোলাম মাওলা জানান, দু’টি মামলায় জামিনের জন্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু সোমবার বেলা ১১টা ২০ মিনিটের দিকে খুলনা মহানগর হাকিমের আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালতের বিচারক মোঃ আমিরুল ইসলাম ইজি বাইক ভাঙচুর মামলায় তাকে জামিন দিলেও পুলিশের ওপর হামলার মামলায় জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
এ সময় আসামী পক্ষে জামিন শুনানিতে আংশ নেন সিনিয়র আইনজীবী এড. আব্দুল মালেক, মঞ্জুর আহমেদ, গোলাম মাওলা, সরদার ইউনুস, মোমরেজুল ইসলাম, মোল্লা মাসুম রশিদ, মাসুদ হোসেন রনি, আব্দুস সবুর, নূরুল হাসান রুবাসহ শতাধিক আইনজীবী। এদিকে কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা ও মহানগর সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জুর আত্মসমর্পণকে কেন্দ্র করে কয়েক হাজার নেতাকর্মী আদালত এলাকায় জড়ো হন। এ সময় আদালত প্রাঙ্গণে পুলিশ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে।
নিউজবাংলা/একে
Comments
comments