নিউজবাংলা: ২০ নভেম্বর-শুক্রবার:
ঢাকা: সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবর সংসদ ভবন এলাকা থেকে সরিয়ে অন্য কোথাও নাও হতে পারে। কেননা স্থপতি লুই আই কানের প্রণীত মূল নকশা পেতে যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভিনিয়া ইউনিভার্সিটির আর্কিটেকচারাল আর্কাইভের অনুকূলে অর্থ জমা দিয়েছে সরকার।
তবে এক্ষেত্রে বিতর্ক এড়াতে জিয়াউর রহমানের কবর সংসদ চত্বরের পশ্চিম দক্ষিণ কোনায় প্রতিস্থাপন করা হবে বলে জানা গেছে। ওই জায়গায় আরো সাতটি কবরের সঙ্গে জিয়াউর রহমানের কবরও রাখা হতে পারে।
গৃহায়ন গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এ তথ্য জানিয়ে বলেছেন, কারো প্রতি বিদ্বেষ নয় বরং বিশ্বখ্যাত স্থপতি লুই আই কানের নকশা অনুযায়ী জাতীয় সংসদ ভবনের চারপাশকে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
উল্লেখ্য, বিভিন্ন সরকারের আমলে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় রাষ্ট্রীয়ভাবে কয়েকজনকে কবর দেয়া হয়। এর মধ্যে রয়েছেন- সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুস সাত্তার, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শাহ আজিজুর রহমান ও আতাউর রহমান খান, সাবেক মন্ত্রী মশিউর রহমান যাদু মিয়া, মুসলিম লীগ নেতা খান এ সবুর, সাহিত্যিক ও সাংবাদিক আবুল মনসুর আহমদ এবং পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের স্পিকার তমিজউদ্দীন খান।
গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, সংসদ ভবন চত্বরের দক্ষিণ-পশ্চিম কোনে কয়েকটি কবর আছে। জিয়াউর রহমানের কবরকে সেখানে সরিয়ে চারদিকে বেষ্টনী দেয়া হবে। তিনি বলেন, সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকা- চালানোর জন্য মসজিদ, কবরস্থানসহ নানা স্থাপনা সরিয়ে নেয়া হয়।
ঢাকা-চট্টগ্রাম চারলেন প্রকল্পের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, এ প্রকল্প চলার সময় অনেক মসজিদ এবং কবরস্থান সরানো হয়েছে। এতে কোন অসুবিধা হয়নি। তিনি বলেন, আমাদের কাছে লুই আই কানের একটি নকশা আছে। সেই নকশার কোথাও কোন কবর দেখানো হয়নি। তাই এই মূল নকশা রক্ষায় আমরা সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করবো। নকশা বহির্ভূত স্থাপনাগুলো প্রতিস্থাপন করা হবে।
জানা গেছে, শেরেবাংলা নগরে লুই কানের নকশাবহির্ভূত আরও সাতটি স্থাপনা রয়েছে। এগুলো হচ্ছে-বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র (বি আইসিসি), সংসদের স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের বাসভবন, চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়ার কবরের চারদিকে থাকা চারটি প্রবেশপথের শুরু বা শেষ প্রান্তে রয়েছে ঝুলন্ত সেতু, সম্মেলন কেন্দ্র ও মসজিদসহ চারটি স্থাপনা।
নিউজবাংলা/একে
Comments
comments