নিউজবাংলা: ২২ নভেম্বর-রবিবার:
ঢাকা: একদিকে আলো ঝলমলে রূপ অন্যদিকে দারিদ্র্যের নির্মম কশাঘাত। বিনোদন আর অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে সদা প্রাণচাঞ্চল্যের শহর নিউইয়র্কে আলোর নীচেই রয়েছে অন্ধকার।
শুক্রবার শহরের দারিদ্র্যপ্রবণ এলাকাগুলোর বাসিন্দাদের একদশকের স্বাস্থ্যগত তথ্য তুলে ধরার পর দেখা গেছে এখানকার ৪৪ শতাংশেরও বেশি লোক বাস করছে দারিদ্র্য সীমার নীচে। এসব এলাকা হলো মরিসানিয়া ও ক্রোটোনা।
তথ্য মতে, ব্রোনস্কের মরিসানিয়া ও ক্রোটোনায় ১৬ কিংবা তার চেয়ে বেশি বয়সের প্রতি পাঁচজনে একজন বেকার। এটি নগরীর সর্বোচ্চ বেকারত্বের হার।
এসব তথ্য ২০০৬ সালে সর্বশেষ হালনাগাদ করা হয়েছিল। গত ১০ বছরে প্রথমবারের মতো নতুন করে এসব তথ্য হালনাগাদ করা হয়।
তথ্যে বেকারত্ব ছাড়াও আরো যেসব নির্দেশক ব্যবহার করা হয়েছে সেসব ধূমপান, স্থ’ূলতা, ডায়াবেটিস ও মাদকের ব্যবহার। তবে এবারে নির্দেশক হিসেবে বায়ু দুষণসহ স্থানীয় বাড়িঘর ও দোকানপাটের গুণগত মানও অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।
মরিসানিয়া ও ক্রোটোনায় বাস করা ৮১ হাজার ৬৯৮ জনের মধ্যে ৩৮ শতাংশ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষা শেষ করতে পারেনি। এসব এলাকার মোট জনসংখ্যার ৫৯ শতাংশ হিস্পানিক, ৩৮শতাংশ কৃষ্ণাঙ্গ এবং মাত্র এক শতাংশ শ্বেতাঙ্গ।
এ এলাকায় জেলে যাওয়ার লোকের হারও সর্বোচ্চ। প্রতি লাখে ৩৭১ জন জেলে যায় যা নিউইয়র্ক শহরের তুলনায় চারগুণ বেশি। এসব এলাকায় মাদক, খুন ও এইচআইভিতে মারা যাওয়ার হার শহরের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি। নিউইয়র্কবাসীদের মধ্যে হৃদরোগ ও ক্যান্সারে মারা যাওয়ার ঘটনা বেশি।
মরিসানিয়া ও ক্রোটোনায় মাদক ও অ্যালকোহলে মারা যাওয়ার ঘটনাও বেশি। এখানে প্রতি লাখে ২ হাজার ৩৬৭ জন অ্যালকোহলের কারণে এবং ৩ হাজার ১৩০ জন মাদকের কারণে হাসপাতালে ভর্তি হয়।
কিশোরীদের মা হওয়ার হারও নিউইয়র্ক শহরের চেয়ে এখানে দ্বিগুণেরও বেশি। মরিসানিয়া ও ক্রোটোনায় প্রতি হাজারে গড়ে ৪৩.১ শতাংশ কিশোরী মা হয়। নিউইয়র্ক শহরে এ হার ২৩.৬ শতাংশ।
নিউজবাংলা/একে
Comments
comments