Breaking News
  • চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যান পক্ষের সংঘর্ষ: এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা
  • ঠাকুরগাঁওয়ে একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পে আড়াই কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ বরখাস্ত ৩
  • জানাযার পূর্বে মৃত ব্যক্তি জেগে উঠলেন!
  • বিশ্বনাথে দৌলতপুর যুবসংঘের অভিষেক ও প্রবাসীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত
  • কলাপাড়ায় আমনের বাম্পার ফলন ॥ কৃষকের মুখে হাসি

নেতাগিরি করেন হুইল চেয়ারে বসেই

নিউজবাংলা: ২০ নভেম্বর-শুক্রবার:

ঢাকা: ‘ওই তো, ওই তো সবার আগে তুমি মিছিলে। কি সুঠাম তোমার এগিয়ে যাবার ভঙ্গিমা। কি উচ্চকিত তোমার কণ্ঠের শ্লোগান/ যেন আকাশ ফেটে পড়বে নিনাদে/হাত উঠছে, হাত নামছে…’

কবি মোহন রায়ের ‘রক্তাক্ত মধ্য ফেব্রুয়ারি’ কবিতার এই লাইনগুলো পড়লে মিছিলে যায়, এমন তরুণ ও মধ্যবয়সী সম্পর্কে ‘সুঠাম দেহের’ দারুণ সম্পর্ক খুঁজে পাবেন। এক ঝাঁক মোটরবাইক নিয়ে মিছিলকারীদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নিজের হুইল চেয়ার নিজে চালিয়ে যাওয়া এক শারীরিক প্রতিবন্দ্বীকে দেখে ওই কবিতার লাইনগুলো মনে পড়ে গেলো।
যুদ্ধাপরাধীর রায়ের প্রতিবাদে ডাকা জামায়াতের হরাতাল বিরোধী যুবলীগের মিছিল যখন মালিবাগ চৌধুরীপাড়া থেকে এগিয়ে যাচ্ছিল, তখন শারীরিক এক প্রতিবন্ধীর দেখা মেলে মিছিলের প্রথম সারিতে। যিনি নিজেই চালাচ্ছিলেন নিজের হুইল চেয়ার দু’টি চেইনের হাতলের সাহায্যে।
মিছিলের মধ্যেই কথা হয় প্রতিবন্ধী মো. লিয়াকত আলী শেখের সাথে। বাস্তুহারা লীগের রামপুরা থানার সেক্রেটারি তিনি। শরীরের প্রতিবন্ধকতা তাকে আটকে রাখতে পারেনি ঘরের কোণায় অথবা ভিক্ষুকের সারিতে। ‘দলকে ভালোবাসি, দেশের জন্য রাজনীতি করি।’ -রাজনীতি কেন করেন? প্রশ্নের জবাব দেন তিনি।
বুঝতে যখন শিখেছেন, তখন থেকেই পঙ্গু হয়েই চলছে তার জীবন। শুনেছেন, ছোটকালে কোনো এক কালো জ্বরে হারিয়েছিলেন হাঁটাচলার শক্তি। আগে পা হেঁচড়েই চলা ফেরা করতেন। গত দু’বছর আগে এডিপির দেয়া হাতে চালিত এই গাড়িটি পান। তারপর থেকে তিনি একটু ভালোভাবে চলাচল করতে পারছেন।
খিলগাঁওয়ের তালতলা মার্কেটের সিঁড়ির পূর্ব পার্শ্বে সেলাই মেশিনে কাজ করেন তিনি। পুরাতন কাপড় সিলিয়ে দিনে উপার্জন হয় ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত।
দু’সন্তান হারিয়ে স্বামী-স্ত্রী বসবাস করেন নতুনবাগে। প্রতিবন্ধী হয়েও রাজনীতিতে তিনি পান না কোনো সুযোগ-সুবিধা। নিজে প্রতিবন্ধী তাই প্রতিবন্ধীদের কষ্টটা বেশ বোঝেন। ‘প্রতিবন্ধীদের প্রতিবন্ধকতা সবখানেই। তাই তাদের স্বাবলম্বী হয়ে উঠার কোনো বিকল্প নেই।’ বলেলেন মো. লিয়াকত আলী।
প্রতিবন্ধী লোকদের জন্য কিছু করার ইচ্ছে আছে কি না? প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ভিক্ষাবৃত্তি থেকে বের হয়ে আসুক প্রতিবন্ধী লোকেরা। আমার মতো যারা আছে অথবা যাদের শারীরিক ক্ষমতা আমার চেয়েও ভালো, তাদের আমি সেলাইয়ের কাজের প্রশিক্ষণ দিতে চাই। সেলাই কাজে আমি বেশ দক্ষ। পাঁচ থেকে ছয় বছর আগে আমি এই ধরনের উদ্যোগের কথা আমার দলকেও জানাই। যদিও তারা এখন পর্যন্ত এ ধরনের কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।’

নিউজবাংলা/একে

Share This:

Comments

comments

Previous: মন্ত্রীরা বিচারের আগেই জেল ও ফাঁসির তথ্য জানেন
Next: জিয়ার কবর সংসদ এলাকাতেই থাকছে

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*