নিউজবাংলা: ২২ নভেম্বর-রবিবার:
মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন,পার্বতীপুর (দিনাজপুর)প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের পার্বতীপুরে এক নাবালিকা কন্যা (১২) ধর্ষনের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ধর্ষকসহ তার এক সহযোগিকে আটক করেছে।
পুলিশ আজ রবিবার সকালে ধর্ষিতাকে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করেছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, পার্বতীপুর উপজেলার মন্মথপুর ইউনিয়নের রাজাবাসর হাতিডাঙ্গা এলাকার শ্রী রমানাথ শীলের বাড়ীতে আত্মীয়তার সুবাদে রামপুরা মাঝাপাড়া গ্রামের স্বদেশ চন্দ্র দাসের পুত্র শ্রী মিঠু চন্দ্র দাস (২৪) আসা যাওয়া করতো। এই সুযোগে রমানাথ শীলের কন্যা রাজাবাসর স্কুল এন্ড কলেজের ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে ছাত্রী (১২) সংঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে। এ সময় তার পিতা মাতা প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি জানতে পেরে মিঠু চন্দ্রকে বাড়ীতে আসতে নিষেধ করে। এর মধ্যে গত ১০ জুন’১৫ সকালে রমানাথ শীলের নাবালিকা কন্যা স্কুলে আসার রাজাবাসর রাস্তা থেকে প্রেমিক মিঠু চন্দ্রসহ ৪ সহযোগি বিবাহসহ বিভিন্ন প্রলোভন দিয়ে অপহরন করে নিয়ে যায়। দুই দিন আটকে রেখে জোরপূর্বক ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষন করে। নাবালিকা কন্যার পিতা-মাতা তাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনা এলাকায় একাধীক বার সালিশ বৈঠক বসে। বৈঠকে কোন সুরাহা না হওয়ায় গতকাল শনিবার রাতে ধর্ষিতার মা প্রতিমা রানী শীল বাদী হয়ে রামপুরা মাঝাপাড়া গ্রামের স্বদেশ চন্দ্র দাসের পুত্র শ্রী মিঠু চন্দ্র দাস (২৪) ও নারায়নপুর কাগজিপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের পুত্র ফিরোজ (২৫), রামপুরা গ্রামের মৃত সুবাশ দাসের পুত্র শ্রী অনুকুল দাস, চন্ডিপুর ইউনিয়নের ছোট হরিপুর গ্রামের সোহেল (২৪)কে আসামী করে পার্বতীপুর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরির্দশক মোস্তফা কামাল জানান, মামলা দায়ের পর ধর্ষক মিঠু চন্দ্র দাস ও তার সহযোগি ফিরোজকে আটক করা হয়েছে।
পার্বতীপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মাহমুদুল আলম জানান, ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। মেডিকেল পরিক্ষার জন্য আজ রবিবার দিনাজপুর পাঠানো হয়েছে।
নিউজবাংলা/একে
Comments
comments