নিউজবাংলা: ২৫ নভেম্বর-বুধবার:
ঢাকা: ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময়, বন্ধ হয়ে যাওয়া বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার সীমান্ত সড়কগুলো পুনরায় খুলে দিতে বাংলাদেশ আগ্রহী বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গণভবনে ভারতের গান্ধীয়ান অধ্যয়ন কেন্দ্রের প্রতিনিধিদলের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে তিনি এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে সন্ধ্যায় ভারতের আন্তর্জাতিক গান্ধীয়ান অধ্যয়ন কেন্দ্র ও মেঘালয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিগণ শেখ হাসিনার সাথে দেখা করতে যান। এসময় প্রধানমন্ত্রী বেশকিছু সময় প্রতিনিধিদলের সাথে মতবিনিময় করেন।
বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধের পর থেকে যেসব সড়ক রুট বন্ধ হয়ে আছে, তা পুনরায় আমরা চালু করতে চাই।
দুইশ বছর ব্রিটিশ শাসনে থাকার পর ১৯৪৭ সালে ভারত ও পাকিস্তান আলাদা দেশ হলেও তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের অনেক রুটে সরাসরি বাস ও ট্রেন যোগাযোগ ছিল। ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর এসব রুট বন্ধ হয়ে যায়।
শেখ হাসিনা নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশে সরকার গঠনের পর ঢাকা-কলকাতা সরাসরি বাস চলাচল শুরু হয়। এর ধারাবাহিকতায় ২০০৮ সালে ঢাকা-কলকাতা ট্রেনও চালু হয়।
এরপর এই বছরের মাঝামাঝিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঢাকা সফরের সময় ঢাকা-শিলং-গুয়াহাটি ও কলকাতা-ঢাকা-আগরতলা বাস সার্ভিস উদ্বোধন হয়।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার আঞ্চলিক যোগাযোগে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। ভারত হয়ে নেপাল-ভুটানে সরাসরি চলাচলও আলোর মুখ দেখছে।
শেখ হাসিনা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে ভারতের সহযোগিতার কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করে দুই দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানোর উপরও গুরুত্ব দেন। তিনি দুই দেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণের কথাও বলেন।
মেঘালয়ের বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রতিনিধি দলও দুই দেশের জনগণের মধ্যে বিশেষ করে শিক্ষক ও ছাত্রদের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানোর উপর জোর দেন।
প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বলেন, তথ্য-প্রযুক্তি ও স্বাস্থ্যসেবা খাতেও বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সহযোগিতার সুযোগ রয়েছে এবং এসব ক্ষেত্রে দুই দেশ একত্রে কাজ করতে পারে।
নিউজবাংলা/একে
Comments
comments