Breaking News
  • সেই পচা গম কোথায়?
  • কলাপাড়ায় মামলা প্রত্যাহার না করায় হামলা: প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
  • কলাপাড়ায় জাহাজের ধাক্কায় খেয়া ডুবি
  • বিয়ের ২ মাসের মধ্যেই যৌতুকের দাবি: কেরোসিন ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে স্ত্রীকে হত্যা
  • ঝালকাঠিতে জলবায়ু ক্ষতিপূরণে অনুদানের দাবিতে টিআইবির মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

বিশ্বনাথে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের যেমন কাটছে দিনকাল!

নিউজবাংলা: ২৫ নভেম্বর-বুধবার:

মোঃ আবুল কাশেম, বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি:

সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের কেমন কাটছে দিনকাল। বর্তমানে সাবেক অনেক নেতা রাজনীতি ছেড়ে প্রবাসে কিংবা অবসরে রয়েছেন। আবারও অনেকই ছাত্র রাজনীতির পরিবর্তে আওয়ামী লীগ ও সহযোগি সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছেন।

দলীয় ও বিভিন্ন সূত্রে জানাযায়, ১৯৭৮ সালে উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক ছিলেন রিয়াজউদ্দিন। তিনি এক বছর ছাত্রলীগের দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ছাত্র রাজনীতি ছেড়ে অবসরে চলে যান। বর্তমানে তিনি প্রবাসে রয়েছেন। ১৯৭৯ সালে ছাত্রলীগের আহবায়কের দায়িত্ব পান বাবুল আখতার। ওই সময় থেকে তিনি রাজনীতি শুরু করলে এখনও রাজনীতি করে আসছেন। দীর্ঘ একযুগ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। সম্প্রতি তিনি আবারও উপজেলা আওয়ামী লীগের পূনরায় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৮০ সালে উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক ছিলেন প্রবীর ভুট্রাচার্য্য। তিনিও এক বছর ছাত্রলীগের আহবায়কের দায়িত্ব পালন করে অবসরে চলে যান। ১৯৮১-৮২ সালের ছাত্রলীগের আহবায়ক মনোনিত হন সায়েক আহমদ। তিনি দীর্ঘ পাঁচ বছর উপজেলা ছাত্রলীগের দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি প্রবাসে রয়েছেন। ১৯৮৬ সালে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। এতে সভাপতি হন মাসুক আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক হলেন শেখ আজাদ। বর্তমানে সভাপতি মাসুক আহমদ প্রবাসে ও সাধারণ সম্পাদক শেখ আজাদ জেলা যুবলীগের সদস্য পদে রয়েছেন। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি ব্যবসা করে আসছেন। ১৯৮৯ সালে আশিকুর রহমান সভাপতি নির্বাচিত হন এবং ফারুক আহমদ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। আশিকুর রহমান বর্তমানে যুক্তরাজ্য রয়েছেন ও ফারুক আহমদ বর্তমানে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি রাজনীতির পাশাপাশি ব্যবসা করে আসছেন। ১৯৯৫ সালে আজাদুর রহমান সভাপতি নির্বাচিত হলেও পূনরায় ফারুক আহমদ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৯৯ সালে নিখিল পাল সভাপতি ও সিরাজুল ইসলাম সিরাজ সাধারণ সম্পাদকের উপজেলা ছাত্রলীগের দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে নিখিল পাল উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক রয়েছেন। ২০০২ সালের আলতাব হোসেন সভাপতি ও পূণরায় সিরাজুল ইসলাম সিরাজ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। প্রায় তিন বছর পর সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজ ছাত্রলীগের দায়িত্ব থেকে অব্যাহিত নিয়ে সেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক হন। বর্তমানে তিনি সেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক রয়েছেন এবং আইনজীবি হিসেবে কাজ করছেন। আর বর্তমানে আলতাব হোসেন উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়কের দায়িত্ব রয়েছেন। ২০১২ সালের ৩০ জুন উপজেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে আহবায়ক নির্বাচিত হন ফয়জুল ইসলাম জয়। বর্তমানে আহবায়ক কমিটি দিয়ে চলছে ছাত্রলীগের কার্যাক্রম।

নিউজবাংলা/একে

Share This:

Comments

comments

Previous: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিএনপি-জামায়াত কর্মীসহ গ্রেফতার ৫৮
Next: যুদ্ধাপরাধের বিচার : প্রধানমন্ত্রীকে ‘দ্যা হিন্দু’ পত্রিকার পরামর্শ

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*