Breaking News
  • বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে ভূগর্ভ থেকে সুড়ঙ্গ পদ্ধতিতে কয়লা তোলার কার্যক্রম ঝুঁকিপূর্ণ
  • কলাপাড়ায় কৃষকদের মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত
  • কুয়াকাটায় ঘরবাড়ী ভেংগে বসতভিটা থেকে উচ্ছেদ করে জমি দখল
  • ‘জামায়াত পাকিস্তানের ভাবরাধায় বিশ্বাসী’
  • ভারতে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত, পাইলটসহ নিহত ৭

ভালুকায় মালটা চাষে স্বাবলম্বী কৃষক মনমথ

নিউজবাংলা: ১৭ নভেম্বর, মঙ্গলবার:

সামিউল ইসলাম, ভালুকা,(ময়মনসিংহ)প্রতিনিধি:

ফল প্রেমিক মনমথ সরকার ছোট বেলা থেকেই গাছ পালা আবাদে তার বাড়তি দুর্বলতা। ফল ভালবাসেন এবং গাছপালা পরিচর্যা করেও আনন্দ পান। এমন নাড়ীর টান থেকেই বেশ ক’বছর আগে গাজীপুরের শ্রীপুর ’কাশবন নার্সারী’ থেকে ৪হাজার টাকায় একটি মালটার চারা কিনে এনে রোপন করেন। এটি বড় হয়ে মালটা কয়েকটি মালটা ধরে। এ ভাবেই যাত্রা শুরু। মালটার গুনগত মান ও চাহিদা দেখে বানিজ্যিক ভাবে আবাদের উপর কৌতুহলী হয়ে উঠে সে।সে লক্ষ্যে উপজেলার পাঁচগাও গ্রামে ৮০শতাংশ জমি নিজ নেয় এবং বানিজ্যিক ভাবে গড়ে তোলে মালটা বাগান। এক গাছ থেকে অন্য গাছে কলমের মাধ্যমে বাগানে রুপান্তর করা হয়। বর্তমানে ৫শত ফলবান মালটা গাছ রয়েছে তার বাগানে এ ছাড়াও এক থেকে দেড় হাজার চারা রয়েছে যা আগামীতে ফল দেয়ার অপেক্ষায়। ভালুকার একটি প্রত্যন্ত অঞ্চলের নাম পাঁচগাও। রাস্তা ঘাটের অবস্থা বেহাল যোগাযোগ ব্যাবস্থায় অনেকটাই দুর্গম। এমন নিভৃত পল্লীতে গাছ প্রেমিক মনমথ নিবির পরিচর্যার মাধ্যমে গড়ে তোলেন বিশাল মালটা বাগান। গাছ গুলোতে ফলন ধরতে শুরু করলে পাশের এলাকায় আরো জায়গা নিয়ে এ চাষের বিস্তৃতি ঘটান। বাগানের সফলতা দেখে ম্যানেজার নিজেও বাড়ীর পাশে প্রায় এক একর জমিতে মালটার আবাদ শুরু করে দেয়। তার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে তিনি নিজেও এখন মালটা চাষী। ভালুকায় মনমথের বাগানে উৎপাদিত মালটা গুনগত মান যেমন ভাল তেমনি রসালো,মিষ্টি ও সুস্বাদু। গাছে ৫০থেকে ২৫০পর্যন্ত মালটা ঝুলে থাকে। ৫/৬টায় এক কেজি ওজন হয়ে যায়। এ বছর ভালুকায় মালটার চাহিদা পুরন করে অন্যান্য এলাকাতেও রপ্তানী করা হয়েছে।চলতি বছর প্রায় ৫০মন মালটা বিক্রি করেছেন তিনি। প্রতি মন মালটা ৪হাজার টাকা থেকে তার উপরে বিক্রি হয়েছে। সে মাফিক দু’লক্ষাধিক টাকা আয় করেছেন কেবল মালটা বিক্রি করেই।সুত্র জানায় এ ছাড়াও মালটাসহ গাছ বিক্রি করেন তিনি প্রতিটা এক হাজার টাকায়। বাগানে বাউকুল,লিচু,আমসহ অন্যান্য ফলের আবাদও রয়েছে। একটি অসমর্থিত সুত্র মতে, একটি জমির লিজের মেয়াদ শেষের পথে এখন দ্বিতীয় মেয়াদে চুক্তিতে যেতে বিরম্বনায় পড়েছেন তিনি। এ জন্য জমি থেকে চারা গুলো তুলে তুলে বিক্রি করে দিচ্ছেন।মনমথ সরকারের নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা উপজেলার বড়খাপন গ্রামে। ভালুকা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-২ এ কারিগরি শাখার ট্রেকিং প্রকৌশলী হিসেবে চাকুরী করার সুবাদে ভালুকায় আসা।প্রায় দীর্ঘ ২০/২১বছরে পেশাগত কারনে ভালুকার প্রত্যান্ত অঞ্চল ঘুরে ঘুরে এলাকার মাটি সম্পর্কে একটা ভাল।

নিউজবাংলা/একে

 

Share This:

Comments

comments

Previous: ভালুকায় মেয়র পদে ৬ মনোনয়ন প্রত্যাশী
Next: মহেশপুরে ২ বাড়িতে ডাকাতি, আটক ২

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*