নিউজবাংলা: ১৭ নভেম্বর, মঙ্গলবার:
সামিউল ইসলাম, ভালুকা,(ময়মনসিংহ)প্রতিনিধি:
ময়মনসিংহের ভালুকায় পৌরসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে সম্ভাব্য প্রার্থীদের প্রচারণা জমে উঠেছে। সর্বত্রই এখন সম্ভাব্য প্রার্থীদের আনাগোনা চোখে পড়ছে। প্রার্থীদের শুভেচ্ছা সংবলিত বিভিন্ন পোস্টার, ব্যানার ও লিফলেট পৌরসভার অলিগলিতে শোভা পাচ্ছে।
এ ছাড়া সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজ উদ্যোগে বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক আচার অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে নিজেদের প্রার্থিতার কথা জানান দিচ্ছেন।কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে তারা পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। পাশাপাশি ভোটারদের মন জয় করতে নানা রকম প্রতিশ্রতি দিয়েও যাচ্ছেন। প্রার্থীদের এমন তৎপরতায় ভোটারদের মধ্যেও শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা। প্রার্থীদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে শুরু হয়েছে চুলচেরা বিচার-বিশ্লেষণ। প্রথমবারের মতো দলীয় মনোনয়ন ও প্রতীকে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত হওয়ায় প্রার্থীরা স্ব-স্ব দলের তৃণমূলের নেতাকর্মীসহ শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সমর্থন পেতে জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির একাধিক প্রার্থী। ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত প্রথম শ্রেণীর এ পৌরসভায় মেয়র পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য বড় দুটি দলের সম্ভাব্য প্রার্থী মাঠে থাকলেও অন্য দলগুলোর কোনো প্রার্থী মাঠে দেখা যাচ্ছে না। মেয়র প্রার্থীদের পাশাপাশি কাউন্সিলর ও নারী কাউন্সিলর পদের সম্ভাব্য প্রার্থীরাও প্রচারণা থেকে কোনো অংশে পিছিয়ে নেই। নিজ নিজ অবস্থান থেকে তারা নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে বর্তমান মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. এ কে এম মেজবাহ উদ্দিন কাইয়ুম, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের আহ্বায়ক সাদিকুর রহমান তালুকদার,ভালুকা সরকারি বালিকা উচচ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আলহাজ ওমর ফারুক মাস্টার, অ্যাডভোকেট রাখাল চন্দ্র সরকার প্রচারণা চালাচ্ছেন। অন্যদিকে ভালুকা পৌরসভার দুবার নির্বাচিত সাবেক মেয়র, ময়মনসিংহ জেলা ও ভালুকা পৌর বিএনপির সদস্য আলহাজ মফিজউদ্দিন সরকার। ভালুকা উপজেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক ও ৬নং ভালুকা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বিশিষ্ট সমাজসেবক আলহাজ্ব হাতেম খান বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
নিউজবাংলা/একে
Comments
comments