নিউজবাংলা: ২০ নভেম্বর-শুক্রবার:
ঢাকা: মালির রাজধানী বামাকোর একটি বিলাসবহুল হোটেলে হামলা চালিয়ে ১৭০ জনকে জিম্মি করেছে বন্দুকধারীরা।
শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ৭ টায় এ হামলা হয় বলে জানিয়েছেন ঊর্ধ্বতন এক নিরাপত্তা সূত্র এবং হোটেল কর্মীরা।
প্যারিসে জঙ্গি হামলায় ১২৯ জন নিহতের ঘটনার রেশ না কাটতেই মালির র্যাডিসন ব্লু নামের হোটেলে এ হামলা হল।
সরকারি বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং সাবেক ফরাসি কলোনির কূটনৈতিক অফিসগুলোর কাছে শহরের কেন্দ্রস্থলের পশ্চিমে হোটেলটি অবস্থিত।
নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, ১০ জনের মতো বন্দুকধারী ‘আল্লাহু হু আকবর’ স্লোগান দিয়ে গুলি চালাতে চালাতে হোটেল ভবনে ঢুকে।
তবে হোটেল পরিচালনাকারী কোম্পানি রেজিদর গ্রুপ বন্দুকধারীর সংখ্যা ২ জন উল্লেখ করেছে। বিবিসি তে এক বিবৃতিতে তারা জানায়, “আমরা যে তথ্য পেয়েছি তাতে দুইজন মানুষ হোটেলের ১৪০ জন অতিথি এবং ৩০ জন কর্মচারিকে জিম্মি করে রেখেছে।”
বন্দুকধারীরা হোটেলে প্রবেশ করার সময় দুই নিরাপত্তারক্ষী আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন হোটেলটির এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা। নিরাপত্তা বাহিনী পুরো হোটেল ঘিরে রেখেছে। বন্দুকধারীরা কে এবং কোন গ্রুপের সদস্য তা জানা যায়নি।
এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, বন্দুকধারীরা কূটনৈতিক লাইসেন্স প্লেট লাগানো একটি গাড়িতে করে আসে। তারা মুখোশ পরা ছিল। হোটেলের প্রবেশপথে নিরাপত্তারক্ষীরা তাদেরকে থামানোমাত্র তারা গুলি শুরু করে।
হামলাকারীরা কয়জন ছিল তা ঠিক করে বলা মুশকিল বলে জানিয়েছেন আরেক প্রত্যক্ষদর্শী। তিনি হামলাকারীর সংখ্যা ৫ থেকে ১৩ হতে পারে বলে জানান।
বিবিসি’র এক সংবাদদাতা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের মালিকানাধীন এ হোটেলটি মালিতে কর্মরত প্রবাসীদের কাছে খুবই জনপ্রিয়।
চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, হোটেল ভবনে আটকা পড়াদের মধ্যে কয়েকজন চীনা পর্যটক রয়েছেন।
জিম্মিদের মধ্যে যারা কোরআন পড়তে পারছে তাদেরকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে বলে রয়টার্সকে জানিয়েছে এক নিরাপত্তা সূত্র।
২০১২ সালে মালির উত্তরাঞ্চল দখল করেছিল জঙ্গিরা। এদের কারও কারও সঙ্গে আল কায়েদারও যোগ ছিল। ফরাসি বাহিনী সামরিক অভিযান চালিয়ে তাদেরকে উৎখাত করলেও মাঝে মধ্যেই সহিংসতার ঘটনা ঘটছে।
গত অগাস্টে সন্দেভাজন জঙ্গিরা মালির কেন্দ্রস্থলের এক শহরের একটি হোটেলে লোকজনকে জিম্মি করে জাতিসংঘের ৫ কর্মীসহ ১৩ জনকে হত্যা করে।
মালিতে আল কায়েদা সংশ্লিষ্ট জঙ্গিরা দেশের উত্তরাঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে রাজধানী বামাকো দখলের হুমকি দেওয়ার পর ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে সেখানে সেনা মোতায়েন করে ফ্রান্স।
শুক্রবারের এ হামলার পর মালির সেনা, পুলিশ এবং বিশেষ বাহিনীসহ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী ও ফরাসি সেনারা ঘটনাস্থলে গেছে। নিরাপত্তা বাহিনী দুই নারীকে উদ্ধার করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
নিউজবাংলা/একে
Comments
comments