Breaking News
  • ঠাকুরগাঁওয়ে একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পে আড়াই কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ বরখাস্ত ৩
  • জানাযার পূর্বে মৃত ব্যক্তি জেগে উঠলেন!
  • বিশ্বনাথে দৌলতপুর যুবসংঘের অভিষেক ও প্রবাসীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত
  • কলাপাড়ায় আমনের বাম্পার ফলন ॥ কৃষকের মুখে হাসি
  • উল্লাপাড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২ আহত ২০

“যতই দিন যাচ্ছে ঠাকুরগাঁওয়ে জমে উঠছে পুরাতন শীত বস্ত্রের ব্যবসা”

নিউজবাংলা: ১৯ নভেম্বর, বৃহঃবার:

নাহিদ রেজা, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:

ঠাকুরগাঁওয়ে যতই দিন যাচ্ছে বেড়ে উঠছে পুরাতন শীত বস্ত্রের ব্যবসা। রাস্তার ধারে পরিত্যাক্ত স্থানে ও বিভিন্ন বন্ধ দোকানের সামনে ও মাঠে ঘাটে পুরাতন কাপড়ের পসরা বসিয়েছে ব্যবসায়ীরা। আর এসব দোকানীদের সারা বছর দেখা না দিলেও শীতের আগমনী বার্তায় দেখা যায় তাদের।

 

বছরের বেশীর ভাগ সময় তারা বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত থাকলেও শীতের প্রায় ৪/৫ মাস তারা ফুটপাতে ও বিভিন্ন মাঠে ঘটে পুরাতন কাপড় বিক্রি করে তাদের সংসার চালায়। আর এ সব ফুটপাতে ও মাঠে-ঘাটে কাপড় বিক্রেতাদের কদর সব চেয়ে বেশী নিন্ম আয়ের মানুষের নিকট। নিন্ম আয়ের মানুষেরা বড় বড় মার্কেটে তাদের চাহিদা মোতাবেক কাপড় কিনতে না পারায় তারা ভীড় জমায় এসকল ফুটপাতের ও মাঠে-ঘটরে দোকান গুলোতে।

জেলার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা গেছে অধিকাংশ মাঠে-ঘাটে বাজারে ফুটফাতে বসেছে পুরাতন কাপড় বিক্রির দোকান। আর এসব কাপড় বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বছরের ৪/৫ মাসে এ ব্যবসা করে ভালো ভাবেই সংসার চলে তাদের। প্রতি বছরে তারা এই ব্যবসা করে।

ঠাকুরগাঁও জেলা স্কুল বড়মাঠে বাজারের পুরাতন কাপড় বিক্রেতা আমির উদ্দিন বলেন, বছরের অন্যান্য সময় আমি রিক্রা চালিয়ে সংসার চালাই। কিন্তু শীতের আগমন টের পেলেই আমি ঢাকা/গাজীপুর থেকে পুরাতন কাপড় কিনে এনে ভ্যানে করে বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করে থাকি। তাছাড়া এ ব্যবসায় বেশী পুজি বিনিয়োগ করতে হয়না।

শরিফ নামের আরেক বিক্রেতার কাছে জানতে চাইলে সে বলে ,আমরা প্রতিবার শীতে এই ব্যবসা করি। এই ব্যবসা করে আমারা আমাদের সংসার কিছু সময়ের জন্য ভালো ভাবে চলাতে পারি।

বড় মাঠ কাঁচারি বাজারে পুরাতন কাপড় কিনতে আসা একজনের কাছে জানতে চাইলে সে বলে, আমরা গরীব মানুষ তাই বড় মার্কেটে গিয়ে কাপড় কিনতে পারিনা। এজন্য এখানে এসে বাঁচ্চাদের শীত নিবারনের কাপড় কিনছি।

ঠাকুরগাঁও রোড যুব সংসদ মাঠে কিনতে আসা এক জনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বড় বড় মার্কেটে পোষাক আসাকের যে দাম তাতে আমাদের মত গরীব মানুষের শীত নিবারন করা কঠিন । শুধু এই পুরাতন কাপড় বিক্রি দোকান আছে বলে আমার মত অনেক গরীব মানুষ আজ শীত নিবারনের কাপড় কিনতে সক্ষম হচ্ছে। তা না হলে শীতের চরম কষ্ট পেতে হতো আমাদের।

রোড যুব সংসদ মাঠের এক বিক্রেতার বলেন, পুরাতন কাপড় হলেও আমাদের কাছে ভালো ভালো পোষাক পাওয়া যায়। আর আধুনিক পোষাকও কম দামে পাওয়া যায়। তাই আমাদের এখানে শীতের সময় ভীর থাকে বেশি।

এই সব মিলেই জমে উঠেছে ঠাকুরগাঁও জেলার বিভিন্ন পুরাতন মার্কেট।

 

নিউজবাংলা/একে

 

Share This:

Comments

comments

Previous: সাকা-মুজাহিদের আপিল বিভাগের ফাঁসির রায়ই বহাল,
Next: অন্যর ছবি তুলে মোরা আয় করে থাকি!

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*