নিউজবাংলা: ১৮ নভেম্বর, বুধবার:
রাজাপুর(ঝালকাঠি)প্রতিনিধি:
ঝালকাঠির রাজাপুরে শিক্ষক কর্তৃক এক জেএসসি পরীক্ষার্থীর খাতা ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার উপজেলার নিজামিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের প্রধান পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক গতকালই মুঠোফোনে ওই পরীক্ষা কেন্দ্রের সহকারি সচিব হারুন অর রশিদকে শিক্ষা বোর্ডে স্বশরীরে হাজির হয়ে কারন দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
সূত্র জানায়, মঙ্গলবার কৃষি শিক্ষা পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে নিজামিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ৪৬ নং কক্ষে পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর ৪১জন শিক্ষার্থীরা পরিদর্শক দুই শিক্ষকের নিকট খাতা জমা দেয়। ওই কক্ষের পরিদর্শকের দায়িত্বে ছিলেন পুটিয়াখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শহিদুল ইসলাম ও নিজামিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মাহমুদ হাসান। এরপরই ওই কক্ষের একটি বেঞ্চের নিচে পরীক্ষার দ্বিখন্ডিত একটি ছেঁড়া খাতা অন্য এক শিক্ষক দেখতে পান। পরে এটি বড়ইয়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী মোসাঃ জান্নাতের খাতা বলে শিক্ষকরা সনাক্ত করে। বিষয়টি সহকারি সচিব হারুন অর রশিদকে অবহিত করা হয়। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে বরিশাল শিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রককে বিষয়টি অবহিত করলে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক তদন্তের পাশাপাশি আগামি ১৯ নভেম্বর স্বশরীরে সহকারি সচিবকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কেন্দ্রের এক শিক্ষক বলেন, জান্নাতের ক্লাস রোল ৬ ও সে অত্যন্ত মেধাবী শিক্ষার্থী। তবে প্রথম পরীক্ষা থেকেই জান্নাতের প্রতি কয়েকজন শিক্ষক অমানবিক আচরন করছেন। পরীক্ষা শেষে সহিদুল ইসলামের কাছে এই খাতা জমা দেয়ার পর সেই খাতাটি ছিঁড়ে ফেলে দিয়েছেন। দুই বিদ্যালয়ের মধ্যে অভ্যন্তরীন বিরোধে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে ওই শিক্ষক সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে জান্নাতের বাবা বাবুল হোসেন বলেন, নিজামিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শাহানাজ পারভীন গণিত পরীক্ষায় আমার মেয়ের ক্যালকুলেটর নিয়ে গিয়ে আর ফেরত দেননি। আজ আবার অন্য শিক্ষক তার খাতা ছিঁড়ে ফেলেছে। এ ব্যাপারে আমি রাজাপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও করেছি।
এ বিষয়ে সহকারি সচিব হারুন অর রশিদ বলেন, ‘আমি পরিদর্শক দুই শিক্ষককেই ঘটনার কারন দর্শানোর জন্য চিঠি দিয়েছি। এ বিষয়ে বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের সাথেও কথা হয়েছে। তার নির্দেশে ওই ছেঁড়া খাতাটি আলাদাভাবে সিলগালা ও প্যাকিং করে বোর্ডে পাঠানো হচ্ছে। তবে আশা করছি এ বিষয়ে বোর্ডের আন্তরিকতায় ওই শিক্ষার্থীর ফলাফলে কোন প্রভাব পরবেনা।’
নিউজবাংলা/একে
Comments
comments