Breaking News
  • বিয়ের ২ মাসের মধ্যেই যৌতুকের দাবি: কেরোসিন ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে স্ত্রীকে হত্যা
  • ঝালকাঠিতে জলবায়ু ক্ষতিপূরণে অনুদানের দাবিতে টিআইবির মানববন্ধন অনুষ্ঠিত
  • নওগাঁ, রাণীনগর ও সান্তাহারে পিএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ব্র্যাকের সাত দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী
  • ঠাকুরগাঁওয়ে বাংলাদেশ ভূমি অফিসার্স কল্যান সমিতির সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত
  • বরগুনার বামনায় জলবায়ূ পরিবর্তন বিরোধি মানববন্ধন

সংশোধিত অর্থনৈতিক অঞ্চল আইন পাস

নিউজবাংলা: ২৪ নভেম্বর-মঙ্গলবার:

ঢাকা: বিদেশি সরকার বা শিল্প উদ্যোক্তা, কনসোর্টিয়াম, জয়েন্ট ভেঞ্চার কোম্পানি বা শিল্পগোষ্ঠীর সঙ্গে অংশিদারিত্বের মাধ্যমে ব্যবসা করার জন্য একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা এবং সে বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় ডেভলপার নিয়োগের বিধান রেখে ‘বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল (সংশোধন) আইন, ২০১৫’ সংসদে পাস হয়েছে।

সোমবার সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে সংসদকার্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে কণ্ঠভোটে পাস হয়। বিলটির ওপর আনীত সংশোধনী ও বাছাই কমিটিতে প্রেরণের কয়েকটি প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। বিলের ওপর আনীত কয়েকজন সংসদ সদস্যের কয়েকটি সংশোধনী প্রস্তাবও নাকচ হয়ে যায়।

স্পিকার ড. শিরিন শারমীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অধিবেশনে আনীত বিলে ধারা-৫-এ সংশোধনী এনে উপধারা ১ সংযোজন করে শর্তযুক্ত করে বলা হয়েছে, কেবল তথ্য প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের উদ্দেশ্যে সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা এবং ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের আওতাভুক্ত কোনো এলাকাকে অর্থনৈতিক অঞ্চল ঘোষণা করা যাবে।
এছাড়া আইনের ৮ ধারায় সংশোধনী এনে উপধারা ২ সংযুক্ত করে বলা হয়েছে, উপধারা-১ এবং ধারা ১৯ এর দফা (৩)-এ যা কিছুই থাকুক না কেন, সরকার বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, বাংলাদেশ সরকার ও অন্য কোনো দেশের সরকারের মধ্যে অংশীদারিত্ব বা উদ্যোগে বা এক বা একাধিক সরকারি সংস্থা বা কৃর্তপক্ষের মধ্যে পারস্পারিক সহযোগিতা বা অংশীদারিত্বের অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ডেভলপার নিয়োগ করতে পারবে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দেশে দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়ন তথা সম্ভাবনাময় সকল এলাকায় অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ‘বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল আইন, ২০১০’ প্রণীত হয়। বিদ্যমান আইনের আওতায় বিদেশি সরকারের সঙ্গে (জি-টু-জি) চুক্তির ভিত্তিতে অথবা একাধিক সরকারি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের পারস্পারিক সহযোগিতা বা অংশীদারিত্বের মাধ্যমে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার কোনো বিধান না থাকায় কতিপয় ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হচ্ছে।
এ পরিপ্রেক্ষিতে জি-ট-জি ভিত্তিতে বা সরকারি কর্তৃপক্ষ/সংস্থার মাধ্যমে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার সুযোগ সৃষ্টির জন্য এ আইনের সংশোধন আনা প্রয়োজন। এজন্য বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল (সংশোধন) আইন ২০১৫ প্রণয়ণের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।

 

 

নিউজবাংলা/একে

Share This:

Comments

comments

Previous: ‘কখনো এক হাতে আসলে তালি বাজে না’
Next: দুদক কমিশনারদের জবাবদিহি: আপিল শুনানি হবে ২৬ নভেম্বর

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*