নিউজবাংলা: ১১ জুন, শনিবার:
জহুরুল ইসলাম মিলন, সুইজারল্যান্ড থেকে:
রামজান মাসে মুসলিমগণ সারাদিন রোজা রাখার পর, সূর্যাস্তের সময় যে খাবার বা পানীয় গ্রহণ করে রোজা ভঙ্গ করেন, তা-ই ইফতার। সাধারনত রমজান মাসে সবাই একত্রে বসে ইফতার গ্রহণ করেন।
খেজুর খাবার মাধ্যমে ইফতার শুরু করা সুন্নত। তবে বাংলাদেশের প্রচালিত ইফতারে থাকে খেজুর ছরাও হরেক রকমের ভাজা-পুড়া, পেঁয়াজু, বেগুনি, হালিম, জিলাপি, মুড়ি ও ছোলা। এছাড়াও অনেকের ইফতারের টেবিলে আরো থাকে সমুচা, সিঙ্গারা, ডালপুরি, চটপতি, মিট ও ফিশ কাবাব, মাংসের কিমা ও মসলা দিয়ে তৈরী নানা পদের কাবাবের সঙ্গে থাকে চাপাতি, রুটি, পরোটা, সেই সাঙ্গে অনেক প্রকারের মিষ্টি ও মিষ্টান্ন, নানান রকমের মৌসোমী ফল ও রং-বেরঙ্গের বাহারী সব শরবতের আইটেম।
আল্লাহ অশেষ রহমতে সুদূর এই প্রবাসে, বাংলাদেশী প্রবাসীদের সহযোগিতায় লুজান বাইতুন-নূর জামে মসজিদে মাস ব্যাপী ইফতার ও দোয়া মাহফিল কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে, আজ এই ইফতার কার্যক্রমের ৩ দিনে বাইতুন-নূর জামে মসজিদে দেশী ও বিদেশী রোজাদার মুসুল্লিতে ছিল কানায় কানায় পূর্ণ! মসজিদ কমিটির ত্বতাবধ্যানে ও আহ্বানে এই মাহে রোমজানের এক এক দিনে এক একজন প্রবাসী ভাই গড়ে প্রতি দিন ৬০/৭০ রোজাদারদের জন্য ইফতার ও নৈশ্য ভোজের আয়োজন করে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় যে সব ভাইয়েরা মাহে রোমজানের এক দিন করে মসজিদে আগত রোজাদারদের জন্য ইফতার ও নৈশ্য ভোজের আয়োজন করার ঘোষণা দিয়েছে তারা হলেনঃ- ১ম রোজায় রনি মিয়া, ২য় রোজায় হাজী সৈ্যাদ কান্তা, ৩য় রোজায় আবুল মুনছু্র লিটন, ৪র্থ রোজায় ছিদ্দিকুর রহমান, ৫ম রোজায় আবু তাহের মন্দার, ৬ষ্ট রোজায় সামছুল আলম মোল্লা, ৭তম রোজায় মাহাবুবুল হক ও রিপন, ৮ম রোজায় সাদেক ঢালী ও আরিফ হাওলাদার, ৯ম রোজায় মহসিন মৃধা রন্জু , ১৪তম রোজায় নূর নবী রিয়াদ ও মন্জুরুল আলন বিপ্লব, ১৫তম রোজায় রায়হান উদ্দিন অপু, ১৮ তম রোজায় মাহাবুব রহমান, ১৯ তম রোজায় জসিম উদ্দিন ভুইয়া, ২১তম রোজায় মোহাম্মেদ ফিরোজ, ২২তম রোজায় আবুল খায়ের মনির, ২৩ তম রোজায় মোঃ জহুরুল ইসলাম মিলন, ২৪তম রোজায় জামাল শরীফ টিপু, ২৫তম রোজায় আলী ( বিদেশী ), ২৬তম রোজায় মারজান ( বিদেশী ), ২৭তম রোজায় কাওয়া ও ইলিয়াস ( বিদেশী ) ২৮তম রোজায় আবুল হাসান সুমন, ২৯ তম রোজায় সুজন চৌধুরী। এই সব ঘোষণা অনুযায়ী এখন পর্যন্ত ৮ টি রোজার ইফতার আয়োজন আসে নাই, তবে আশা করা যাচ্ছে খুব শিঘ্রই মাহে রোজানের পূর্ণ মাসের ইফতার আয়োজনের ঘোষণা পাওয়া যাবে, তার পরেও যে সব দিনের ইফতারের ঘোষণা পাওয়া যাবে না সেই সব দিনে মসজিদ কমিটির ইফতার ফ্রান্ড থেকে ইফতারের আয়োজন করা হবে, উল্লেখ্য যে অনেকেই মসজিদ কমিটির ইফতার ফ্রান্ডে অর্থ ও ইফতার সামগ্রী প্রদান করছেন।
নিউজবাংলা/একে
Comments
comments