নিউজবাংলা: ২৭ নভেম্বর-শুক্রবার:
গাইবান্ধা: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সময় ১৯ জন ভুয়া পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
তাদের মধ্যে কলেজপড়ুয়া এক ছাত্রীকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। কর্মকর্তারা বলছেন, অস্তিত্বহীন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মঞ্জুরি পেতে শিক্ষকরা অসৎ এ পন্থা অবলম্বন করছেন। তবে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
শুক্রবার সময় টিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বাজারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পিএসসি’র ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা পরীক্ষায় অংশ নেয় নলডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রী। একইভাবে ওই কেন্দ্রসহ পার্শ্ববর্তী ধোপাডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় অংশ নেয় ১৯ জন ভুয়া পরীক্ষার্থী।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অভিযানে ধরা পড়ার পর তাদের স্বীকারোক্তিতে বেরিয়ে আসে অনেক তথ্য। বহিষ্কৃত এক পরীক্ষার্থী জানায়, অভিযুক্ত স্কুলের প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামানের সহযোগিতায় সে পরীক্ষা দিতে এসেছে।
অপর এক পরীক্ষার্থীও জানায়, সেই স্কুলটির প্রধান শিক্ষক তাকে পরীক্ষা দিতে বলায় অনিচ্ছা সত্ত্বেও সে পরীক্ষা দিতে আসে।
অভিযুক্ত একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটির সভাপতির দাবি শিক্ষা কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় এসব কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে। বেকাটারী বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সভাপতি লিটন মিয়া বলেন, ‘নতুন স্কুলগুলোর জায়গা-জমি কিছুই নেই, টাকার লোভে কিছু দুষ্কৃতিকারীর সহায়তায় এরা এসব কাজ করছে।’
এ অবস্থায় অভিযুক্ত পরীক্ষার্থীদের বহিষ্কারের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন সুন্দরগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাবিবুল আলম ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ১৯টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১২ হাজার ৯শ’ ৬ জন।
নিউজবাংলা/একে
Comments
comments