হরতাল-অবরোধে ক্ষতির মুখে তরমুজ ব্যবসা

নিউজ বাংলা ২১: বৃহঃবার, ১২ মার্চ:

প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত তরমুজের মওসুম শুরু হয়। বরিশালে এবার তরমুজের ফলন ভাল হয়েছে। সাধারণত মওসুমের শুরুতে তরমুজের দাম বেশি থাকলেও এবার গত বারের চেয়ে অন্তত ৩০ ভাগ দাম কম। চলমান হরতাল-অবরোধে প্রভাব ফেলেছে তরমুজ বিপণনে। এর ফলে কৃষকরা যেমন ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন ব্যবসায়ী, আড়তদার ও পাইকাররা।

বরিশাল নগরীর হাটখোলার ফলপট্টিতে সরেজমিনে ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

মেহেন্দীগঞ্জের ঘাঘুরিয়ার বাসিন্দা নূর ফারাজী জানান, হরতাল-অবরোধ আর রাতে গাড়ি না চলায় তাদের ট্রলারে এনে তরমুজ বিক্রি করতে হচ্ছে। এর ফলে এবারে তরমুজের দাম খুব কম। পরিবহন খরচ বেশি। গাড়িতে পাঠাতে না পারায় সড়ক যোগাযোগ নির্ভর এলাকায় তরমুজের সরবরাহ ও ক্রেতা নেই।

বরিশাল ফল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজাদা জানান, ছোটো আকারের ১০০ তরমুজ এখানে দেড় থেকে দুই হাজার টাকা, বড় আকারের তরমুজ পাঁচ থেকে সাত হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা বিগত বছরের চেয়ে অন্তত ৩০ ভাগ কম। আগে এখানে প্রতিদিন কোটি টাকার তরমুজ বেচাকেনা হতো। এ বছর তা অর্ধেকে নেমে এসেছে।

স্থানীয় মক্কা মদিনা ফলের আড়তের মালিক সোবাহান হাওলাদার জানান, আগে মওসুমে প্রতিদিন অন্তত অর্ধশত গাড়ি বরিশালের বাইরে তরমুজ নিয়ে যেত। এ বছরে এখন পর্যন্ত মাত্র ১৮/২০টা গাড়ি ছাড়া হয়েছে।

বরিশাল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর সহসভাপতি আমিনুর রহমান ঝাণ্ডা জানান, তরমুজ পচনশীল পণ্য। দীর্ঘদিন সংরক্ষণেও ব্যবস্থা নেই। চলমান হরতাল-অবরোধে সড়ক যোগাযোগ ব্যাহত হওয়ায় পরিবহন খরচ ও সময় বেড়েছে। তাই তরমুজ উৎপাদনে পাইকারী-বিপণন পর্যায়ে দাম না পাওয়ায় চাষী ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে।

 

নিউজ বাংলা ২১/একে

 

 

 

(Visited 4 times, 1 visits today)
Top