সিলেটে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের গোলাগুলি

নিউজ বাংলা ২১: শুক্রবার, ১৩ মার্চ:

সিলেট: আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সিলেট নগরীর তালতলায় ছাত্রলীগের দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় বেশ কয়েকটি দোকানপাট ভাঙচুর ও মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়।

বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি শাহরীয়ার আলম সামাদ ও মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক পিযুষ কান্তি দে গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

প্রায় ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ভাঙচুর করা হয় ইসলামী ব্যাংকের তালতলা শাখা ও নবান্ন রেস্টুরেন্টসহ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।

এছাড়া অগ্নিসংযোগ করা হয় চারটি মোটরসাইকেল ও বেশ কয়েকটি রিকশা। এছাড়া ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা রেজিস্ট্রারি মাঠের ভাসমান কাপড়ের দোকানগুলোও পুড়িয়ে দেয়। সংঘর্ঘ চলাকালে ৩ রাউন্ড গুলি ও ৮-১০টি ককটেলের বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে বলে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।

সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিরব ভূমিকা পালন করে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা অভিযোগ করেছেন। একপর্যায়ে পিযুষ গ্রুপ রেজিস্ট্রারি মাঠের পেছন দিয়ে পালিয়ে যায় ও সামাদ গ্রুপ অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে রেজাস্ট্রারি মাঠ এলাকায় অবস্থান নেয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বুধবার রাতে সিলেট ছাত্রলীগের পিযুষ গ্রুপ ও সামাদ গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে সামাদ গ্রুপের ধাওয়া খেয়ে পিযুষ গ্রুপ তালতলা ছেড়ে পালিয়ে যায়।

বুধবারের ঘটনার বদলা নিতেই বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে পিযুষ গ্রুপের ৩০-৪০ নেতাকর্মী অস্ত্রশস্ত্রসহ তালতলায় এসে দোকানপাট ও যানবাহন ভাঙচুর করতে থাকে। হামলার খবর পেয়ে সামাদ গ্রুপ এগিয়ে আসলে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘাত বেঁধে যায়। সংঘাতকালে ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলি বিনিময় করে দু’পক্ষ। একপর্যায়ে সামাদ গ্রুপের সাথে টিকতে না পেরে পিছু উঠে পিযুষ গ্রুপ।

এ ব্যাপারে সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি আসাদুজ্জামান বাংলামেইলকে বলেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।’

প্রসঙ্গত, গতকাল বুধবারও রাতে ওই দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছিল। এর জের ধরে আজ পুনরায় গুলাগোলির ঘটনা ঘটে।

 

নিউজ বাংলা ২১/একে

(Visited 3 times, 1 visits today)
Top