শিশু সাঈদ হত্যা: বহাল তবিয়তে ওলামা লীগের নেতারা

নিউজবাংলা ২১: ১৭ মার্চ, মঙ্গলবার:
সিলেট: সিলেটে স্কুলছাত্র আবু সাঈদ (৯) হত্যাকাণ্ডে জেলা ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক ও প্রচার সম্পাদক জড়িত থাকার অভিযোগ উঠলেও এখনও তাদের গ্রেপ্তার করা হয়নি। এছাড়া এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের দল থেকে বহিষ্কার করা হয়নি। প্রতিক্রিয়া দিতেও দেখা যায়নি ওলামা লীগ বা আওয়ামী লীগের নেতাদের। দিব্যি দলীয় পদে বহাল রয়েছেন নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের নায়ক বলে মনে করা ওলামা লীগের দুই নেতা।
তাদের গ্রেপ্তার না করায় সিলেটের সাধারণ মানুষের মনে ক্ষোভ বিরাজ করছে। বিশেষ করে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের ভাবমূর্তি প্রশ্নের মুখে পড়েছে। অনেকে মনে করছেন তাহলে কি দলীয় পরিচয়ে পার পেয়ে যাবেন তারা?
বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কেউ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

সাঈদ হত্যাকাণ্ডে জেলা ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম রাকিব ও প্রচার সম্পাদক মুহিবুল ইসলাম সরাসরি জড়িত বলে আদালতে স্বীকারোক্তি দেন মামলার প্রধান আসামি পুলিশ কনস্টেবল এবাদুর রহমান।
এদিকে, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত জেলা ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম রাকিবও সোমবার সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এর বিচারক শাহেদুল করিমের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন।
এছাড়া, রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া র্যাবের কথিত সোর্স আতাউর রহমান ওরফে গেদা মিয়াকে (৩৩) এরই মধ্যে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহ মোহাম্মদ ফজলে আজিম পাটোয়ারী।
এর আগে সোমবার সকালে একই আদালত তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার সকাল ১১টায় নিজ বাসা থেকে মামার বাসায় যাওয়ার পথে অপহৃত হয় স্কুলছাত্র আবু সাঈদ (৯)। এ ঘটনায় তার বাবা আব্দুল মতিন রবিবার সকালে ছয়জনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেন।
মামলার আসামিরা হলেন-সিলেট জেলা ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক, ওসমানীনগর উপজেলার আনোয়ারপুর গ্রামের শফি মিয়ার ছেলে, বর্তমান শাহপরান নিপবন আবাসিক এলাকার বাসিন্দা নূরুল ইসলাম রাকিব (২৬), এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ কনস্টেবল (নম্বর-৯৩৯) ও জকিগঞ্জের বাল্লা গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে, বর্তমান ৩৭ সবুজ ঝরণারপাড়ের বাসিন্দা এবাদুর রহমান (২৪) এবং র্যাবের কথিত সোর্স ও ছাতক উপজেলার মঈনপুর গ্রামের মৃত হবি রহমানের ছেলে, ৭২ ঝরণারপার নিচতলার বাসিন্দা আতাউর রহমান গেদা (৩৩)।
মামলার অন্য আসামিরা অজ্ঞাত। ঘটনার মূল নায়ক পুলিশ কনস্টেবল এবাদুর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন।
অপহরণের একদিন পরই সাঈদকে হত্যা করা হয়েছে। সাঈদ হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলেন পুলিশ কনস্টেবলসহ পাঁচজন। হত্যার আগে সাঈদ অপহরণকারীদের চিনতে পারায় তাকে খুন করা হয়।
এরপর গত শনিবার রাত ১২টায় সাঈদের গলিত লাশ নগরীর ঝেরঝেরিপাড়ার এক লন্ডন প্রবাসীর বাসা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। মহানগর পুলিশের বিমানবন্দর থানার কনস্টেবল এবাদুর রহমান ওই বাসায় ভাড়া থাকতেন।

নিউজ বাংলা ২১/ একে

(Visited 3 times, 1 visits today)
Top