সারা বিশ্বে করোনার প্রভাবে চরম দরিদ্র হতে পারে ৬ কোটি মানুষ : বিশ্বব্যাংক।
করোনাভাইরাসের প্রভাব সারা বিশ্বব্যাপী এতটাই পড়েছে যে, যার কারণে দারিদ্রতার চরম পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে বিশ্ব। করোনাভাইরাস সংকটের অর্থনৈতিক পরিণতি বিশ্বের ৬ কোটি মানুষকে চরম দারিদ্রের দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলে সর্তক করেছেন বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড মালপাস। বর্তমান পুনরুদ্ধার প্রচেষ্টা যথেষ্ট নয় বলেও তিনি মনে করেন।
খবর : ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস।
বিশ্বব্যাংকের চরম দারিদ্রের সংজ্ঞা হল, যিনি প্রতি দিন ১ দশমিক ৯০ ডলারের ( ১৬১ টাকা) চেয়ে কম অর্থে জীবনযাপন করবেন। গত মঙ্গলবার মালপাস বলেন, বিশ্বব্যাংক আশঙ্কা করছে ২০২০ সালে বিশ্ব অর্থনৈতিক উৎপাদন পাঁচ শতাংশেরও বেশি সংকুচিত হবে। যা দারিদ্র্য দূরীকরণে বিশ্বের দরিদ্রতম দেশগুলোর গত তিন বছরে প্রচেষ্টা মুছে ফেলবে। লাখ লাখ জীবিকা ধ্বংস হয়ে গেছে এবং বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্যসেবা চাপের মধ্যে রয়েছে।
মালপাস বলেন, উন্নয়নশীল দেশগুলোতে কোভিড – ১৯ মহামারীর কারণে স্বাস্থ্যগত ও লকডাউনের কারণে যে অর্থনৈতিক প্রভাব পড়েছে তা মারাত্মক। আমাদের অনুমান যে ৬ কোটি মানুষ একেবারে দরিদ্র হয়ে যাবে।
দরিদ্র দেশগুলোকে সংকট মোকাবেলায় সহায়তা হিসেবে বিশ্বব্যাংক গ্রুপ ১৬০ বিলিয়ন ডলারের অনুদান এবং ১৫ মাসের স্বল্প সুদে ঋণ বিতরণ কর্মসূচি নিয়েছে।মালপাস বলেন, ১০০ দেশের জন্য ইতিমধ্যে জরুরী অর্থ ছাড় করা হয়েছে। এই ১০০ দেশে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৭০ শতাংশ বাস করে।
তিনি আরো বলেন, বিশ্বের ৭৩টি দরিদ্রতম দেশের জন্য ঋণ সেবা স্থগিতকরণ উদ্যোগে অংশ নিতে বাণিজ্যিক ঋণদাতাদের অনীহা দেখে তিনি হতাশ হয়ে পড়েছেন। যা গত মাসে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর সংগঠন জি – ২০ এর বৈঠক থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, ঋণ পরিশোধ স্থগিত রাখার জন্য ইতিমধ্যে ১৪টি দেশ ঋণদাতাদের কাছে আবেদন করেছে। আরও ২৩টি দেশ আবেদন করতে যাচ্ছে। ১৭টি দেশ আবেদনের বিষয়টি নিয়ে গুরুত্বের সঙ্গে ভাবছে।