বৈরুতের ভয়াবহ বিস্ফোরণের ৩০ ঘন্টা পরও জীবিত উদ্বার একজন
লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ এতটাই ভয়ানক ছিল যে, জাপানের হিরুশিমা, নাগাসাকিতে যে পারমাণবিক বোমা ফেলা হয় প্রায় তার সমতূল্য। লেবাননের জনগণ এমন বিস্ফোরণ আগে কখনো দেখে নি। বৈরুতের ওই ঘটনায় হতাহত বা নিহতের সংখ্যা এখনই নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না।
তবে এই ভয়াবহ বিস্ফোরণেও একটা কাকতালীয় ঘটনা ঘটে গেছে। বৈরুতের বিস্ফোরণের ৩০ ঘন্টা পর ওই বন্দর থেকে জীবিত উদ্বার করা হয় একজন শ্রমিককে। লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ৩০ ঘন্টা পর এক শ্রমিককে জীবিত উদ্বার করা হয়েছে। আমিন জাহিদ নামে ওই শ্রমিককে অজ্ঞান ও আহত অবস্থায় সাগর থেকে উদ্বার করা হয়।
উদ্বারকর্মীরা ভূমধ্যসাগরে ৩০ ঘন্টা পর তাকে খুঁজে পান। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। একটি ছবিতে দেখা যায়, তাকে সাগর থেকে উদ্বার করার পর ছোট একটি উদ্বার করার পর ছোট একটি উদ্বারকারী নৌকায় তোলা হয়।
আমিন জাহিদের পরিবারের সদস্যরা লেবাননের একটি টেলিভিশনকে বলেছেন, হাসপাতালে গেলেও তারা তাকে (আমিন জাহিদ) খুঁজে পাননি। বর্তমানে তার অবস্থা কী তা জানতে না পারায় তারা উদ্বিগ্ন রয়েছেন।
বিস্ফোরণের পর নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধানে ইনস্টাগ্রামে একটি পেজ চালু করা হয়। যার মাধ্যমে নিখোঁজ হওয়া আমিন জানিদের পরিচয় মিলেছে।
বৈরুত বন্দর অ্যামেনিয়া নাইট্রেট বিস্ফোরণের ঘটনায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১৫০ এর মানুষ নিহত হয়েছেন আর আহত ৫ হাজারের বেশি মানুষ।
তবে এই ঘটনা নিয়ে বহু বির্তক তৈরি হয়েছে। অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন এটা কি শুধু দূর্ঘটনা নাকি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড।