ভারতে মন্দির রক্ষার্থে মুসলিম যুকবদের মানবঢাল
এই মূহুর্তে যদি বলা ধর্ম নিয়ে সবচেয়ে বাড়াবাড়ি হয় কোন দেশে? তাহলে এক বাক্যেই উঠে আসে ভারতের নাম। কিছু দিন আগেও দিল্লিতে যে দাঙ্গা হয়ে গেল তা নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কিন্তু কম বির্তকিত হননি। বলা হয়ে থাকে তার শাসন আমলেই ভারতে মুসলিমরা সবথেকে বেশি হামলার শিকার।
তবে এত সব ধর্ম নিয়ে সমস্যার মাঝেও কিছু জিনিস ঘটে যায় যা সত্যিকার মানবতার পরিচয় বহন করে। তেমনি এক মানবিক ঘটনা গঠল ভারতের বেঙ্গালুরুতে।
এত সহিংসতার মধ্যেও বেঙ্গালুরুতে দেখা যায় এক অনন্য নজির। হিন্দুদের মন্দিরে যাতে কোনো ধরণের অশান্তি ছড়িয়ে পড়তে না পারে, সে জন্য মুসলিম যুবকরা মানবঢাল তৈরি করে মন্দিরে পাহারা দিচ্ছেন। এ সংক্রান্ত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ইসলামবিদ্বেষী পোস্টের প্রতিবাদে ভারতের কর্নাটক রাজ্যের রাজধানী বেঙ্গালুরুতে ব্যাপক বিক্ষোভ কেন্দ্র করে পুলিশের গুলিতে ৩ জন নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ওই ঘটনা ঘটে। বুধবার সকালে বেঙ্গালুরুর পুলিশ কমিশনার কমল পন্ত এ ব্যাপারে অবমাননাকর পোস্ট শেয়ারের অভিযোগে নবীন নামে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন। তিনি কংগ্রেস অখণ্ড শ্রীনিবাস মূর্তির ভাইপো।
কংগ্রেস বিধায়ক অখণ্ড শ্রীনিবাস মূর্তির ভাইপো ফেসবুকে বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মদ (সা.) কে কটুক্তি করে একটি পোস্ট শেয়ার করায় বিধায়কের বাসভবন ও স্থানীয় থানায় ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
এ সময় পুলিশের গুলিতে ৩ জন নিহত হন। একই সঙ্গে বিক্ষুব্ধ জনতার হাতে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনারসহ ৬০ পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন। সেই সময় ওই এলাকায় অবস্থিত মন্দির গুলোতে যাতে কেউ আঘাত করতে না পারে তার জন্য স্থানীয় মুসলিম যুবকরা মানবঢাল তৈরি করে রাখে।
ওই ঘটনা কেন্দ্র করে পরিস্থিতি সামাল দিতে ডিজে হাল্লি ও কেজি হাল্লি এলাকায় কারফিউ জারি করা হয়েছে এবং গোটা শহরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। পুলিশ এ ব্যাপারে ১১০ জনকে গ্রেফতার করেছে।
উল্লেখ্য বেশ কিছু দিন থেকে ভারতে এই সামপ্রদায়িক দাঙ্গার পরিমাণ বেড়েই চলছে। আর মুসলমানরাই এইসব হামলার শিকার হচ্ছে বেশেই। এর জন্য নরেন্দ্র মোদি সারা বিশ্বে অনেক সমালোচিত হচ্ছেন।