নিউজবাংলা: ২২ নভেম্বর-রবিবার:
ফরিদপুর: একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসিতে ঝোলানো জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের মরদেহ তার বাড়ির আঙিনায় আসার পর কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজন ও নেতাকর্মীরা।
রোববার সকাল ৬টা ৪০ মিনিটের দিকে মরদেহবাহী গাড়ির বহরটি ফরিদপুর শহরের পশ্চিম খাবাসপুরে মুজাহিদের নিজ বাড়িতে পৌঁছায়। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন জামায়াত ও শিবিরের নেতাকর্মীরা।
মরদেহ মাওলানা আব্দুল আলী ফাউন্ডেশন চত্বরে নেয়ার পরে হু হু করে কেঁদে ওঠেন তারা। একে অপরকে জড়িয়ে ধরে সান্ত্বনা দেয় নেতাকর্মীরা। এছাড়া পুলিশি কড়াকড়িতে সেখানে মুজাহিদের স্বজন আর দলীয় নেতাকর্মী ছাড়া সর্বসাধারণের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণও করা হয়।
সকাল সোয়া সাতটার দিকে জানাজা শেষে ফাউন্ডেশন চত্বরে উপস্থিত পরিবারের সদস্য, স্বজন ও জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীরা শেষবারের মতো মরদেহ দেখেন। এসময়ও নেতাকর্মীদের অনেকেই কাঁদতে থাকেন। সকাল সাতটা ৪৫মিনিটে মুজাহিদের বাবার নামে স্থাপিত মাওলানা আব্দুল আলী ফাউন্ডেশন চত্বরে দাফন করা হয়।
জানাজায় ইমামতি করেন মুজাহিদের বড় ভাই আলী আফজাল মোহাম্মদ খালেছ।
এর আগে মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স ফরিদপুর শহরের পশ্চিম খাবাসপুরে মুজাহিদের নিজ বাড়িতে পৌঁছায়। এ সময় ফরিদপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তার মরদেহ গ্রহণ করেন দুজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। রাজবাড়ী-ফরিদপুরের সীমান্ত সাইনবোর্ড নামক স্থানে মরদেহ গ্রহণের সময় উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুবায়েত হায়াত শিপলু ও মন্দীপ ঘড়াই। পরে মরদেহ মাওলানা আব্দুল আলী ফাউন্ডেশন চত্বরে জানাজার জন্য নেয়া হয়।
এর আগে থেকেই সেখানে ভিড় করে দলীয় নেতাকর্মীরা। রাত তিনটার দিকে ফাউন্ডেশন চত্বরে কবর তৈরির কাজ শেষ হয়। তারপর থেকেই পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা মরদেহের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন।
মুজাহিদের ফাঁসির রায় কার্যকর করা হচ্ছে- এমন খবরে রাত ১০টার পর থেকেই ফাউন্ডেশন চত্বরে জড়ো হতে থাকে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা। তবে আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সেখানে সর্বসাধারণের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করে।
নিউজবাংলা/একে
Comments
comments