নিউজবাংলা: ৩১ জুলাই, রোববার:
ঢাকা : সাম্প্রতিক সময়ে হওয়া জঙ্গি হামলাকারী অধিকাংশই নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক কিংবা বর্তমান ছাত্র। তাই জঙ্গি হামলাকারীদের পরিচয় খুঁজতে গিয়ে বারবার সামনে আসছে বেসরকারি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম।এতে হুমকির মুখে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ হাজার শিক্ষার্থীর ভবিষ্যত।
২০১২ সালের ১৭ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে নাশকতা চেষ্টার অভিযোগে মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই বাংলাদেশি তরুণ কাজী মোহাম্মদ রেজওয়ানুল আহসান নাফিসকে গ্রেফতার করে। নাফিস নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সাবেক শিক্ষার্থী ছিলেন।
২০১৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মিরপুরের বাসার সামনে কুপিয়ে হত্যা করা হয় ব্লগার রাজীব হায়দারকে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত অভিযোগে পুলিশ ৮ জনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার ব্যক্তিদের মধ্যে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান মুফতি মোহাম্মদ জসীমউদ্দিন রাহমানি ছাড়া বাকি ৭ জনই নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক এবং ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন বিভাগের ছাত্র।
চলতি বছরের পহেলা জুলাই গুলশানের হলি আর্টিসান বেকারিতে জঙ্গিরা হামলা চালিয়ে ১৭ বিদেশিসহ ২০ জনকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে। হামলাকারী ৬ জঙ্গির মধ্যে দুইজন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন।
এরপর ৭ জুলাই কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় ঈদের জামাতের আগে পুলিশ চৌকিতে হামলাকারীদের অন্যতম আবির হোসেন ছিলেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র।
২৬ জুলাই ঢাকার কল্যাণপুরে পুলিশি অভিযানে নিহত ৯ জঙ্গির অন্তত ৩ জন ঢাকার নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন।
গুলশানের হলি আর্টিসান বেকারিতে হামলার পর উদ্ধার জিম্মিদের মধ্যে সন্দেহভাজন হিসেবে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হাসনাত করিমের জঙ্গি সম্পৃক্ততার বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।
হলি আর্টিসান বেকারিতে হামলায় জড়িত জঙ্গিদের বাসা ভাড়া দেওয়া ও তা গোপন করার অভিযোগে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি অধ্যাপক এস এম গিয়াস উদ্দিন আহসানকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
আর তাই বিশ্ববিদ্যালয়টির সঙ্গে জঙ্গিবাদের কোনো সম্পর্ক আছে কিনা, তা তদন্ত করে দেখছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন।
ফৌজদারী অপরাধ বিষয়ক আইন বিশেষজ্ঞ অ্যাডভোকেট এহসানুল হক সমাজি বলেন, শুধু জঙ্গিদের বিচারের আওতায় না এনে কোন তৃতীয় শক্তি তাদের উৎসাহিত করছে কিংবা মদদ দিচ্ছে তাদেরও বিচারের আওতায় আনা উচিৎ।
এ ধরনের মামলা বিচারের জন্য একটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করে ট্রাইব্যুনালকে সহায়তা করার জন্য একটি শক্তিশালী প্রসিকিউশন গঠনের উপর গুরুত্ব দেন তিনি।
নিউজবাংলা/ একে
Comments
comments