নিউজবাংলা:৭ জুলাই, বৃহ.বার:
ঢাকা : ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টায় এ জামাত শুরু হয়।
নামাজে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান।
এর আগে, রোজা ও ঈদ-উল-ফিতরের তাৎপর্য তুলে ধরেন মাওলানা সৈয়দ ওয়াহিদুজ্জামান। নামাজ শেষে বাংলাদেশসহ বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর শান্তি, সুখ ও সমৃদ্ধি কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এতে অংশ নেন। মোনাজাত শেষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সবার সঙ্গে কোলাকুলি করেন। ডিএসসিসি প্রায় এক লাখ লোকের জন্য এ ঈদ জামাতের আয়োজন করে।
প্রধান জামাতে অংশ নিতে সকাল থেকে হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসল্লি জাতীয় ঈদগাহে আসতে শুরু করেন। তবে গুলশানে নৃশংস সন্ত্রাসী হামলা ও আরও হামলার হুমকিতে হাইকোর্ট প্রাঙ্গণের ঈদের প্রধান জামাতকে ঘিরে ছিল কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ভেতরে প্রবেশ করতে তল্লাশি করায় লাইনে দাঁড়িয়ে ভেতরে প্রবেশ করেন মুসল্লিরা। এজন্য প্রতিটি লাইনে ছিল মুসল্লির দীর্ঘ সারি। মহিলাদের জন্যও নামাজেরও ব্যবস্থা ছিল। মূল গেট থেকে দক্ষিণ দিকে ছিল মহিলাদের প্রবেশ পথ। সেখানেও ছিল দীর্ঘ সারি। ভেতরে ঢুকতে না পেরে অনেকে ঈদগাহের সামনের রাস্তায় জায়নামাজ, পত্রিকা বিছিয়ে নামাজ পড়তে বাধ্য হন।
কদম ফোয়ারার দিকে মূল প্রবেশ পথে ছিল চারটি আর্চওয়ে। ডিএমপির ঘোষণা অনুযায়ী কাউকে জায়নামাজ ছাড়া কোনো ব্যাগ নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। মূল প্রবেশ পথের উত্তর পাশেই ছিল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। তার পাশেই ছিল র্যাবের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার মাধ্যমে পুরো এলাকা পর্যবেক্ষণ করা হয়।
এদিকে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম জামাত সকাল ৭টায়, দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায়, তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায়, চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় এবং পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত সকাল পৌনে ১১টায় অনুষ্ঠিত হয়।
নিউজবাংলা/ একে
Comments
comments