নিউজবাংলা- ১৪ নভেম্বর,শনিবার:
ঢাকা: ‘অবাধ ও সুষ্ঠু’ নির্বাচন হলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষে ৩০ আসন পাওয়া দুষ্কর হবে। সেজন্য তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচনকে এড়িয়ে যেতে চায়।
শুক্রবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মুখপাত্র আসাদুজ্জামান রিপন এ কথা বলেন।
রিপন বলেন, ‘বিএনপি মনে করে সরকার প্রতিদ্বন্দ্বিতামুলক নির্বাচনকে এড়িয়ে একদলীয় শাসন ব্যবস্থার বিনাসী পথে অগ্রসর হচ্ছে। একটি অবাধ নির্বাচনে হলে ৩০টির আসনও পাওয়া দুষ্কর হবে।’
‘এটি উপলব্ধি করতে পেরে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে তারা চিরস্থায়ীভাবে ক্ষমতায় থাকার অলীক স্বপ্ন দেখছে। কারণ তারা জনগণের প্রাণের স্পন্দন দেখতে পাচ্ছে না। স্বৈরাচারি দৃষ্টিভঙ্গি তাদের অন্ধই করেছে’।
রাজধানীয় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলন বিএনপি নেতা কামাল ইবনে ইউসুফ, ফজলুল হক মিলন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, আবদুল লতিফ জনি, শামীমুর রহমান শামীম, শিরিন সুলতানা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
রিপন বলেন, ‘শুধু গণতন্ত্র বাঁচানোর জন্য বিনা ভোটের সরকারের সঙ্গে বিএনপি-নাগরিক সমাজ সংলাপে বসার আগ্রহ দেখিয়েছিলো। ভবিষ্যতের সংকটকে এড়ানো এবং জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থকে বিবেচনা করে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু সরকার সেই প্রস্তাব শুধু অগ্রাহ্যই করেনি, এর মধ্য দিয়ে তারা নিজেদেরও ঠকিয়েছেন; যা ভবিষ্যতে প্রমাণ হবে।’
আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাকে ব্যবহার করে সরকার বিএনপির সাংগঠনিক পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে-অভিযোগ করে বিএনপির মুখপাত্র বলেন, বিষয়টি এখন গ্রেফতারের পর্যায়ে পৌঁছেছে। সেজন্য প্রতিদিনই দেশব্যাপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যকে ‘কুরুচিপূর্ন এবং অরাজনৈতিক’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন রিপন।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সভানেত্রী তার চিরায়ত অভ্যাসে অভ্যস্ত মন্তব্যে তার দল বিব্রত হয় কী না জানি না, তবে দেশের মানুষ রাজনীতির নামে এ জাতীয় বক্তব্যে খুবই অস্বস্তির মধ্যে পড়ে।’
আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, ‘তার সহযোগিরাও একই পথ অনুসরণ করেন। কেউ মন্ত্রিত্ব রক্ষা করতে কেউ মন্ত্রেত্ব ফিরে পেতে। যা রাজনৈতিক শিষ্টচার ও রুচিবোধের মধ্যে পড়ে না। বিএনপি যদি এসব মন্তব্যে পাল্টা জবাব দেয়, তাহলে রাজনীতির পরিবেশ আরো কলুষিত হবে। বিএনপি এসব থেকে বিরত থাকে।’
সরকারদলীয় নেতাকর্মীদের ‘অত্যাচারে’ দেশবাসি অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে-দাবি করে তিনি বলেন, ‘এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে দুর্নীতি ও দু:শাসন। শাসকদল যে জনগণ থেকে ক্রমাগতভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে, বিষয়টি তারা উপলব্ধি করতে পারছে। যে কারণে সরকার একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনকে ভীতির চোখেই দেখছে।’
উলফা নেতা অনুপ চোটিয়াকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়া প্রসঙ্গে বিএনপির অবস্থান জানতে চেয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এ সম্পর্কে আজ বলবো না। সিনিয়র নেতৃবৃন্দ যেভাবে অভিমত দেবেন, বলতে বলবেন পরে সেভাবে জানানো হবে।’
নিউজবাংলা/একে
Comments
comments