নিউজবাংলা:৭ জুলাই, বৃহ.বার:
ঢাকা : সামরিক শক্তি প্রয়োগের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টির আগেই ত্রুটিপূর্ণ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ২০০৩ সালে ইরাকে হামলা চালানো হয়েছিল।
তবে এই রিপোর্ট নাকচ করলেও ইরাক যুদ্ধে অংশ নেয়ার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন তখনকার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার।
ইরাক যুদ্ধ নিয়ে স্যার জন চিলকোর্টের প্রকাশিত রিপোর্টে আরও বলা হয়, শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমস্যা সমাধানের সব পথ শেষ হয়ে যাওয়ার আগেই সেই যুদ্ধে যোগ দিয়েছিল বৃটেন। যুদ্ধে অংশ নেয়ার জন্য ব্লেয়ার তখনকার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশকে গোপন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
‘ইরাক ইনকোয়ারি রিপোর্ট’ শিরোনামের প্রতিবেদনটি ওয়েস্ট মিনস্টারে ব্রিটেনের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের হাতে তুলে দিয়েছেন চিলকোর্ট।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরাকে ব্যাপক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র আছে এটা নিশ্চিত করে বলা হয়েছিল। কিন্তু তা যাচাই করা হয়নি।
এ রিপোর্ট প্রকাশ হওয়ার পর যেকোনো ভুলভ্রান্তির দায়িত্ব নিতে সম্মতি প্রকাশ করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার।
‘ইরাক ইনকোয়ারি রিপোর্ট’-এ বলা হয়েছে, ২০০৩ সালে ইরাক আগ্রাসন শুরু হওয়ার আট মাস আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশকে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার যে চিঠি লিখেছিলেন, তাতে তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, “যত যা-ই হোক, আমি আপনার সঙ্গেই থাকব।”
ফলে চিলকোর্ট রিপোর্টে টনি ব্লেয়ারের তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে। জবাবে টনি ব্লেয়ার বলেছেন, তিনি ইরাক যুদ্ধে গিয়েছিলেন সুস্থ বিশ্বাসের ভিত্তিতে। তিনি এখনো বিশ্বাস করেন ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনকে ক্ষমতাচ্যুত করাই ছিল উত্তম চিন্তা। ইরাক যুদ্ধকে বর্তমানের সন্ত্রাস সৃষ্টির কারণ হিসেবে দেখতেও অস্বীকার করেন টনি ব্লেয়ার।
এদিকে ইরাক যুদ্ধে যেসব বৃটিশ নাগরিক নিহত হয়েছেন তাদের পরিবারের সদস্যরা বলছেন, ওটা ছিল একটি ব্যর্থ যুদ্ধ। তারা এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা উড়িয়ে দেননি।
বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বলেছেন, এ থেকে শিক্ষা নিতে হবে। আগামী সপ্তাহে এ বিষয়ের ওপর হাউজ অব কমন্সে বিতর্কের জন্য দুই দিন ধার্য করার ঘোষণা দেন তিনি।
বিরোধী লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন বলেছেন, ভুয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে ইরাকে সামরিক আগ্রাসন চালানো হয়েছিল।
নিউজবাংলা/ একে
Comments
comments