নিউজবাংলা: ১২ জুলাই, মঙ্গলবার:
ঢাকা: মার্কিন কংগ্রেসের বৈদেশিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটি গতকাল সোমবার এক প্রতিবেদনে বলেছে, ইরান পরমাণু বিষয়ে ধোঁকা দিয়েছে।এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ইরান পরমাণু-সমঝোতার সব সুযোগ-সুবিধাগুলোই ভোগ করবে, কিন্তু এর পাশাপাশি খুব দ্রুত একটি পরমাণু বোমা বানানোরও চেষ্টা করবে!
আমেরিকা এমন সময় ইরানের বিরুদ্ধে এমন উদ্যোগ নিলো যখন সাম্প্রতিক দিনগুলোতে পাশ্চাত্য ইরানের পরমাণু ইস্যুটিকে ইসলামী এই দেশটির ক্ষেপণাস্ত্র ইস্যুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। গত সপ্তাহে জার্মান গোয়েন্দা সংস্থা দাবি করেছে, ইরান পরমাণু অস্ত্রের প্রযুক্তি ও সাজ-সরঞ্জাম অর্জনের গোপন প্রচেষ্টা চালিয়েছে।
ইরান ‘প্রতারণা’ করেছে বলে অপবাদ দেয়া দেশটির পরমাণু বিষয়ে পাশ্চাত্যের দ্বিমুখী নীতিকে বৈধতা দেয়ারই চেষ্টা মাত্র। মার্কিন কংগ্রেস ইরানের পরমাণু বিষয়ক সমঝোতা লঙ্ঘনের চেষ্টা করছে বহু দিন ধরে। এই সমঝোতা-বিরোধী নানা বিল উত্থাপনেরও চেষ্টা করছে তারা। এ ছাড়াও খোদ মার্কিন সরকার তথা হোয়াইট হাউজও এই সমঝোতা-বিরোধী কাজ করে যাচ্ছে। যেমন, ইরানের ওপর ব্যাংকিং নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়েছে বলে মার্কিন সরকার দাবি করে আসলেও বাস্তবে তা প্রয়োগ করতে দিচ্ছে না এই সরকার। ইরানকে যাত্রীবাহী বিমান কিনতেও বাধা দিচ্ছে মার্কিন সরকার।
গত বছরের ১৪ জুলাই ইরানের সঙ্গে ঐতিহাসিক পরমাণু-সমঝোতাটি স্বাক্ষর করেছিল ছয় বৃহৎ শক্তি। এই সমঝোতার প্রথম বার্ষিকীর প্রাক্কালে মার্কিন কংগ্রেস ইরান বিরোধী তিনটি নতুন বিল পাশের চেষ্টা করছে। এই বিলগুলো রিপাবলিকান সদস্যদের ভোটে পাশ হবে বলে মার্কিন দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে।
এইসব প্রস্তাবের মূল দিকটি হল ইরানের ওপর নতুন নতুন কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা। ইরান ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে এবং দেশটিতে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয় ও দেশটি সন্ত্রাসবাদে সহায়তা দিচ্ছে-এইসব পুরনো অপবাদের অজুহাতেই এই বিলগুলো পাশ করা হতে পারে। অর্থনৈতিক ও বৈদেশিক লেন-দেনের ক্ষেত্রে ইরানকে মার্কিন ডলার থেকে বিচ্ছিন্ন রাখা এইসব প্রস্তাবের আরেকটি বড় লক্ষ। এই বিলগুলোর তৃতীয় বড় লক্ষ্য হল ইরানের পরমাণু ক্ষেত্রের ভারি পানি কেনা হতে মার্কিন কোম্পানিগুলোকে বিরত রাখা। -পার্সটুডে।
নিউজবাংলা/একে
Comments
comments