নিউজবাংলা:৮ জুলাই, শুক্রবার:
ঢাকা : ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহের পাশেই কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আজিমউদ্দিন হাই স্কুল।
ঈদুল ফিতরের সকালে ওই স্কুলের সামনে পুলিশ একটি টহল চৌকি বসিয়েছিল নিরাপত্তার জন্য। পুলিশ ওই চৌকিতে যখন এক ব্যক্তির ব্যাগ তল্লাশি করতে যায় তখন এক জঙ্গি একজন পুলিশ কনস্টেবলের ঘাড়ে কোপ দেয়। কোপ দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে গোলাগুলি। পুলিশ পাল্টা গুলি ছোড়ার এক পর্যায়ে অন্য পুলিশ সদস্যরা যখন আসে, তখন সন্ত্রাসীরা পালাতে চেষ্টা করে।
এভাবেই বিবিসি বাংলাকে ঘটনার বর্ণনা দিচ্ছিলেন কিশোরগঞ্জের স্থানীয় সাংবাদিক সাইফুল হক দুলু।
ফারহানা পারভীনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, এর মধ্যে হামলাকারীদের গুলিতে এবং দায়ের কোপে অন্তত নয়জন কনস্টেবল আহত হয়।
তিনি বলেন, ওই এলাকার গোলাপবাগে হামলাকারীরা যখন অবস্থান নেয়, তখন পুলিশ দুজন হামলাকারীকে চিনতে পারে। হামলাকারীদের একজন চারতলা একটি বাড়ির নিচে আশ্রয় নেয় বলে তিনি জানান।
পুলিশের বরাত দিয়ে তিনি জানান, পরে ধাওয়া দিয়ে পুলিশ ওই হামলাকারীকে বন্দুক ও চাপাতিসহ আটক করে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুটি পিস্তল, কয়েক রাউন্ড গুলি, একটি চাপাতি ও একটি ককটলে উদ্ধার করেছে।
সাইফুল হক নামাজের মাঠে সেসময় নামাজ আদায় করছিলেন। তিনি বলেন, “মাঠের মাইকে যেহেতু তখন একজন হুজুর কোরানের বয়ান পড়ছিলেন, তাই প্রচণ্ড আওয়াজের কারণে মাঠের ভেতরে বাইরের এই ঘটনার খবর কোনোভাবে পৌঁছে নাই।”
তিনি বলেন, “নামাজের মধ্যে যদি আতঙ্ক ছড়ায়ে যেত, দৌড়াদৌড়ি শুরু হলে তখন হয়ত কয়েক হাজার মানুষ পদপিষ্ট হয়ে হতাহত হতে পারত।’’
তিনি আরও বলেন, মাঠের খতিব ও ইমাম মওলানা ফরীদউদ্দীন মাসঊদ হেলিকপ্টার যোগে কিশোরগঞ্জে এলেও উনি নামাজ পড়াতে পারেননি। কারণ নিরাপত্তার কারণে তাকে সার্কিট হাউস থেকে মাঠে আনা সম্ভব হয়নি।
নামাজের পর মুসল্লিদের বলা হয়, মাঠের পেছনের রাস্তা দিয়ে মাঠ ত্যাগ করতে, তখনই মুসল্লিরা ঘটনার কথা জানতে পারেন।
সাইফুল হক বলেন, পুলিশ জানিয়েছে একজন জঙ্গি পুলিশের গুলিতে মারা গেছে এবং আরেকজনকে হাতেনাতে আটক করা হয়েছে। আরও তিনজনকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটকের কথা পুলিশ বলেছে।
নিউজবাংলা/ একে
Comments
comments