নিউজবাংলা-১৩ নভেম্বর,শুক্রবার
মো.ইমরান,কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি ॥
কলাপাড়া উপজেলার পক্ষিয়াপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভাঙা দরজা।
ভবনের পিলারগুলোও ভেঙে ভিতরের রড বেড়িয়ে গেছে। এরই মধ্যে আতঙ্ক নিয়ে চলছে শিক্ষার্থীদেও পরাশোনা। বালিয়াতলী ইউনিয়নের এ বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, ভবনটির ৯০ ভাগ পলেস্তার খসে পড়েছে। পিলার থেকে বের হয়ে গেছে রড। ভবনের মেঝ দেবে গেছে । দু-এক কক্ষের জানালা নেই। বৃষ্টি হলে ভবনের ছাদ চুয়ে পানি পড়ে। একজন শিক্ষক বলেন, বিদ্যালয়ে ১৯৫ জন শিক্ষার্থী আছে। ঝুঁকিপূর্নভবনের মধ্যেই বর্তমানে পঞ্চম শ্রেনীর ক্লাস দাপ্তরিক কার্যক্রম চলছে। অবস্থা আরও খারাপ হওয়ায় গত চার মাস ধরে বিদ্যালয়ের অদূরে পক্ষিয়াপারার রাখাইনদের কমিউনিটি সেন্টারে চতুর্থ শ্রেনীর শিক্ষাথীদের ক্লাস চলে। মোঃ বশির উদ্দিন জানান, ‘ইসকুলে পোলাপান গেলে ভয়ে থাহি, কোন সময় ছাদ ভইঙ্গা পইরা কিছু ঘটে। নতুন ইসকুল না করলে, আমাগো পোলপানের ল্যাহাপড়ার ক্ষতি অব’।বিদ্যালযের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মং তেনথান বলেন, ১৯৯৫ সালে বিদ্যালয়ের এ ভবনটি নির্মান করা হয়। একমাত্র ভবনটির এমন অবস্থা হওয়ায় তাঁরা বিপদে পড়েছেন। শিক্ষার্থীরা ছোট, ওরা বোঝে না। ওরা বিদ্যালয়ে এসে ছোটাছুটি শুরু করে দেয়। ফলে যেকোনো সময় ভবনটির পলেস্তার খসে পড়ে যে কেউ অহত ও বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। প্রধান শিক্ষক আঃ রাজ্জাক বলেন, দুই জায়গায় গিয়ে শিক্ষদের ক্লাস নেওয়ায় সমস্যা হয় বাইরে শিক্ষার্থীদের জন্য শৌচাগারের ব্যবস্থাও নেই। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ে গত জুন মাসে এবং সর্বশেষ সেপ্টেম্বরে আরেক দফা লিখিতভাবে সমস্যার কথা জানিয়েছেন। কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। উপজেলা প্রাথমিক ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আরিফুরজ্জামান বলেন, তাঁরা এ বিদ্যালয়ের অবস্থার কথা জানিয়েছেন মন্তনালয়ে এবং জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে পাঠিয়েছেন। স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর (এলজিইডি) কলাপাড়া প্রকৌশলী মোঃ আবদুল মান্নান বলেন, কিছু দিনের মধ্যে বিদ্যালয়ের ভবন নির্মানে জন্য দরপত্র আহ্বান করা হবে।
নিউজবাংলা/একে
Comments
comments