নিউজবাংলা:৮ জুলাই, শুক্রবার:
ঢাকা : রাজধানী ঢাকায় যারা ঈদ করেন খাওয়া-দাওয়ার পর তাদের প্রথম আকর্ষণের জায়গাটি হলো পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘোরাঘুরি।
ঈদের বিকালে ঘুরতে বের হওয়ার দৃশ্যটি রাজধানীবাসীর জন্য পুরোনো। তবে এবারের ঈদে ‘অজানা’ একটি শঙ্কা কাজ করে নগরবাসীর মনে। গুলশান ও কিশোরগঞ্জের জঙ্গি হামলার ঘটনায় ধারণা ছিল নগরবাসী আগের মতো ঘুরতে বের হবে না। তবে ঈদের বিকালে রাজধানীতে ঘুরে দেখা গেল ভিন্ন চিত্র। হামলা ও নাশকতার ‘শঙ্কা’ জয় করে ঘুরতে বের হয়েছেন বেশির ভাগ নগরবাসী। প্রতিটি বিনোদনকেন্দ্রে মোটামুটি ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। মুক্ত হাওয়ায় ঈদের বিকালটি কাটাতে পেরে খুশি নগরবাসী। রাজধানীর নিরাপত্তা নিয়েও তারা সন্তুষ্ট।
রাজধানীর মিরপুর চিড়িয়াখানা, শাহবাগের শিশু পার্ক, রমনা পার্ক, সংসদ ভবনের সামনে, জাতীয় জাদুঘর আর হাতিরঝিলে দেখা গেছে মানুষের ভিড়। কাঁঠালবাগান থেকে স্ত্রীকে নিয়ে হাতিরঝিলে ঘুরতে এসেছেন শাহরিয়ার খান। তিনি ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়ি যাওয়া হয়নি। নামাজ পড়ে ঘর থেকে বের হওয়ার কথা ছিল আরও আগে। কিন্তু রোদ থাকার কারণে বিকালে বের হয়েছি।’ রাজধানীর নিরাপত্তাব্যবস্থায় তিনি সন্তুষ্ট। জঙ্গিদের হামলা আতঙ্ক নগরবাসীকে ঘরে বসিয়ে রাখতে পারবে না বলেও মন্তব্য করেন একটি প্রাইভেট ফার্মের এই চাকুরে।
রাজধানীবাসীর ঈদ উদযাপন নির্বিঘ্ন করতে পুরো ঢাকাকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে। সতর্ক অবস্থানে আছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী। রাস্তার মোড়ে মোড়ে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। নিরাপত্তা জোরদারে নগরবাসী কিছুটা স্বস্তি পেলেও গুলশান ট্র্যাজেডির কারণে কিছুটা বিমর্ষ সাধারণ মানুষ।
বরাবরের মতোই এবারের ঈদেও বদলে গেছে তিলোত্তমা নগরী ঢাকার চিরচেনা চিত্র। রাস্তায় বসে গরম আর যানজটে নাকাল হওয়ার ভোগান্তি নেই। নেই রাজধানীর যাপিত জীবনের নিত্য ঝুট ঝামেলা। ফলে ঢাকায় থেকে যাওয়া নগরবাসী মনের আনন্দে উদযাপন করছেন ঈদুল ফিতর। তারা বলছেন, গুলশান ট্র্যাজেডির কারণে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা থাকলেও বাইরে বের হওয়ার পর স্বাভাবিক মনে হয়েছে সবকিছু। তবে গুলশানে নৃশংস হামলার ঘটনাটি না ঘটলে ঈদের আনন্দ পরিপূর্ণতা পেতো বলে মনে করেন তারা।
পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) বিপ্লব কুমার সরকার ঢাকাটাইমসকে জানান, নগরবাসীর নিরাপত্তা বিবেচনায় রেখে পুরো ঢাকাকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকেছেন তারা। জায়গায় জায়গায় স্থাপন করা হয়েছে চেকপোস্ট। নগরে টহল দিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। বাতিল করা হয়েছে পুলিশের সব পর্যায়ের সদস্যদের ঈদের ছুটি।
নিউজবাংলা/ একে
Comments
comments