নিউজবাংলা:৮ জুলাই, শুক্রবার:
ঢাকা : রাজধানীর গুলশান হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় ভয়ারবহ নৃশংসতার পর যমুনা ফিউচার পার্ককে টার্গেট করে দেয়া একটি টুইট বার্তা নিয়ে নতুন আতঙ্ক তৈরি হয়েছে,
দেখা দিয়েছে উত্তেজনা।হামলার দিনক্ষণ নির্ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে এই বার্তাটি দেয়া হয়।কামিল আহমেদ নামে এক ব্যক্তি টুইটটি পোস্ট করেন।তবে তার বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি।
আরবি ও ইংরেজিতে লেখা ওই ব্যক্তির টুইট বার্তায় লেখা রয়েছে- ‘নেক্সট টার্গেট যমুনা ফিউচার পার্ক। মিশন ২০ জুলাই।’ এর আগে গুলশানের হটি আর্টিজানে হামলা নিয়েও টুইট করা হয়েছিল।
টুইটে একজন প্রশ্ন রাখেন, কেন বাংলাদেশকেই টার্গেট করা হয়েছে। জবাবে কামিল বলেন, অমুসলিমদের হাত থেকে ইসলামকে রক্ষা করাই তাদের উদ্দেশ্য।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একই ব্যবহারকারীর অভিন্ন বার্তা সম্বলিত টুইটের দু’টি স্ক্রিনশট পাওয়া যায়। খুঁজে পাওয়া স্ক্রিনশট দু’টিতে সময়ের ভিন্নতা রয়েছে।
একটি স্ক্রিনশটে রবিবার সকাল ১১টা ৪৯ মিনিট ও অপরটিতে রবিবার রাত ১২টা ৪৯ মিনিটে একই বার্তা দিয়ে এই অ্যাকাউন্ট থেকে টুইট করা হয়েছে।
এরপর থেকেই টুইটারে কামিল আহমেদকে উদ্দেশ করে জবাব দিতে থাকেন দেশে বিদেশি অবস্থানকারী টুইটার ব্যবহারকারীরা।পরে অবশ্য হুমকিদাতা কামিল আহমেদের অ্যাকাউন্টটি নিষ্ক্রিয় পাওয়া যায়।
এমন হুমকির ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ প্রশাসন ও যমুনা ফিউচার পার্ক ঘিরে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে যমুনা ফিউচার পার্ক কর্তৃপক্ষ। তিন স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে ওই বিপণীবিতানে। এছাড়া রয়েছে সার্বক্ষণিক র্যাব-পুলিশের টহল ও চেকআপ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে যমুনা ফিউচার পার্কের ব্রান্ড অ্যান্ড মার্কেটিং বিভাগের প্রধান মেজর (অব.) মাহবুবুর রহমান শাকেব ঢাকাটাইমসকে বলেন, দুশ্চিন্তা করার কারণ নেই। আমরা যথেষ্ট নিরাপত্তামূলক পদক্ষেপ নিয়েছি। তিন স্তরে আমাদের নিজস্ব নিরাপত্তা রয়েছে। এছাড়া র্যাব-পুলিশের সার্বক্ষণিক টহল ও সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও সক্রিয় রয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হুমকির বিষয়ে আমরা অবগত আছি। তবে নিরাপত্তার কোনো কমতি নেই এখানে।
সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ঢাকাটাইমসকে বলেন, আমরা বসে নেই। কাজ করছি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হামলার হুমকির বিষয়ে আমরা অবগত রয়েছি। এটি নিয়ে আমরা ইতোমধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি।
ঢাকার কূটনীতিকপাড়া গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে একদল অস্ত্রধারী ঢুকে দেশি-বিদেশি অতিথিদের জিম্মি করে। প্রায় ১২ ঘণ্টা পর শনিবার সকালে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে কমান্ডো অভিযানের মধ্য দিয়ে রেস্তোরাঁর নিয়ন্ত্রণ নেয় নিরাপত্তা বাহিনী।
সেখান থেকে ১৩ জন জিম্মিকে জীবিত এবং ২০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতদের মধ্যে ১৭ জনই বিদেশি নাগরিক।
নিউজবাংলা/ একে
Comments
comments