নিউজবাংলা: ১৭ নভেম্বর, মঙ্গলবার:
ঢাকা : গবেষকরা বলেছেন, খাবারের আগে আপেলের সিরকা এবং পানি খেলে শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়।
রক্তে শর্করার পরিমাণ কমিয়ে টাইপ-২ ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করা যায়। তাছাড়া, সবুজ চা দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ কমিয়ে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়।
বাইটক্লাব ডট ইনের খাদ্য বিশেষজ্ঞ সুমাইয়া শ্রী এমনই কিছু খাবার ও ফলের নাম উল্লেখ করেছন যা ডায়াবেটিস ও ডায়াবেটিস সংক্রান্ত জটিলতা প্রতিরোধ করবে।
আপেলের সিরকা: দীর্ঘদিন ধরে আমাদের খাদ্যেচক্রে আপেলের সিরকা ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে।সিরকার মধ্যে অ্যাসেটিক অ্যাসিড থাকে যা আমাদের পাকস্থলির হজম প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে।
দারুচিনি: রক্তে শর্করার পরিমাণ কমানো ও টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে দারুচিনি। তাছাড়া, এই মশলাটি শরীরের ক্ষতিকর কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে উপকারী কোলেস্টেরল বৃদ্ধি করে। তবে সম্পূরক খাবার গ্রহণ বা খাদ্য পরিকল্পনা করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।
লেবু জাতীয় ফল: যাদের শরীরে ডায়াবেটিস আছে তাদের ভিটামিন সি কম থাকে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ লেবু জাতীয় ফল এর অভাব পূরণ করে।ভিটামিন সি ট্যাবলেট সম্পূরক হিসেবে দ্রুত কাজ করে মনে হতে পারে কিন্তু প্রাকৃতিক এসব ফলে চর্বি কম থাকে, আঁশ থাকে বেশি এবং উপকারী অনেক পুষ্টি পাওয়া যায়। লেবু জাতীয় ফল প্রথম পছন্দ হওয়া উচিত।
সবুজ চা: সবুজ চা দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ রোধ করে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায় এবং রক্তে শর্করার শোষণ ক্ষমতা নষ্ট করে।
মেথি: ডায়াবেটিসের আগে-পরে রক্তে শর্করার পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে এই মশলাটি। মেথির বীজে যে আঁশ আছে তা শর্করার পরিমানকে বাধাগ্রস্ত করে। ট্যাবলেট, চা, বিভিন্ন খাবারের সাথে মেথি ব্যবহার করে খাওয়া যায়।
বাদাম: বাদামে এক ধরণের জিনিস থাকে যা ডায়াবেটিসজনিত কারণে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
রসুন: রসুন কোলোস্টেরল ও রক্তে শর্করার পরিমাণ কমাতে সহায়তা করে। রসুন ডায়াবেটিস রোগীদের শরীরে ইনসুলিনের পরিমাণ বৃদ্ধি করে।
নিউজবাংলা/একে
Comments
comments