নিউজবাংলা:৯জুলাই, শনিবার:
ঢাকা : গাজীপুরের চন্দ্রায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে নিম্নমানের কাজে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শনিবার বেলা ১১টার দিকে গাজীপুরের চন্দ্রায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক পরিদর্শন শেষে এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘রাস্তার কাজের মান নিয়ে আমি খুশি নই। দুই বছর আগে চন্দ্রা নবীনগর ফোর লেনের কাজ সম্পন্ন হলেও এ রাস্তায় একটু বৃষ্টি হলে গর্ত হয়ে যায়। মেরামত করার জন্য বলা হলেও সেটি এখনো মেরামত করা হয়নি। আমি গেলেই আমার সামনে একটি গাড়ি নিয়ে চুলা জ্বালিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। তার পরে আর কোনো কাজ হয়না, যা দুর্ভাগ্যজনক।’
মন্ত্রী বলেন, ‘রাস্তায় সবাইকে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। আমাদের মানসিকতাকে পরিবর্তন করতে হবে। আর তা না হলে ফোর লেনের জায়গায় এইট লেন করেও কোনো লাভ হবে না। রাস্তা যদি দখল হয়ে থাকে, রাস্তায় যারা চলেন তারা যদি শৃঙ্খলা না মানেন তবে এসব করে কী লাভ?
এ বিষয়ে তিনি আরো বলেন, ‘সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানো রাতারাতি সম্ভব নয়। তবে আমি রাস্তার শৃঙ্খলা, সড়কের মান উন্নয়নের জন্য লড়াই চালিয়ে যাব। কোনো আপস করবো না।’
মোটরসাইকেল আরোহীদের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘ঢাকায় এখন মোটরসাইকেলে তিনজন আরোহী চড়া প্রায় ৯০ ভাগ বন্ধ করা গেছে। কিন্তু সারা দেশে এটি বন্ধ হয়নি। অনেক রাজনৈতিক কর্মীরা তা মানে না। তারা তিনজন করে মোটরসাইকেলে চড়বে এবং কোনো হেলমেট ব্যবহার করবে না। অনেক পাতি নেতা, সিকি নেতাদের ব্যানার, বিলবোর্ডে মহাসড়ক ফের ছেয়ে গেছে। এসব নেতাদের ছবির ভিড়ে বঙ্গবন্ধু ও নেত্রী শেখ হাসিনার ছবি খুঁজে পাওয়া দায়।’
অনেক রাজনৈতিক নেতার দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন তুলে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘অনেক রাজনৈতিক নেতা এবং অনেক বড়লোক দেশে ঈদ করেন না। তারা ঈদ উদযাপন করতে চলে যান দেশের বাইরে। এটা খুব কষ্টকর। আমার দেশের মাটিতে তারা আনন্দ খুঁজে পান না। শিকড়ের প্রতি, গ্রামের প্রতি তাদের আকর্ষণ করে না।’
মন্ত্রীর মহাসড়ক পরিদর্শনকালে সড়ক ও জনপথের ঢাকা সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক সবুজ উদ্দিন খান, গাজীপুর মহাসড়ক পুলিশ সুপার শফিকুর রহমানসহ সড়ক ও জনপথ এবং পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে ঢাকামুখী মানুষ ফিরতে শুরু করেছেন। তবে মহাসড়কের যানজট পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
নিউজবাংলা/ একে
Comments
comments