নিউজবাংলা: ৫ জুলাই, মঙ্গলবার:
ঢাকা: আলু বোখারা নামে একটি মশলার নাম অবশ্যই শুনেছেন যেটি কিনা অভিজাত খাবারে দেয়া হয়। পোলাও, বিরিয়ানি, রোস্ট, সালাদ ও আচারসহ নানা খাবারে এই আলু বোখারার দেয়া হয়। ঈদকে সামনে রেখে এই আলু বোখারার কদর বেশ বাড়ছে। আর এই সুযোগে খুচরা ব্যবসায়ীরা বেশি দামে ক্রেতাদের পকেট কাটছে।
পাইকারি বাজারে প্রতিকেজি আলু বোখারা ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি করলেও খুচরা বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায়। শুধু আলু বোখারাই নয়, পাইকারি বাজারের সঙ্গে খুচরায় মশলার দামে বেশ তফাৎ দেখা গেছে। নিয়ন্ত্রণেও নেই কোনো ব্যবস্থা। ফলে যে যার ইচ্ছেমতো দামে এসব মশলা বিক্রি করছে।
পাইকাররা জানান, মশলার চাহিদা বেশি হয় কোরবানির ঈদে। তবে অন্যান্য সময়ের চেয়ে রোজার সময় মশলার চাহিদা বাড়ে। চাহিদা বাড়লেও দেশের পাইকারি বাজারে মশলার সংকট নেই। ফলে দাম বাড়ার কোনো যুক্তি নেই। বরং আগের চেয়ে মশলার দাম অনেকটা কম।
সোমবার রাতে কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরা বাজারে মানভেদে প্রতিকেজি জিরা ৩৪০ থেকে ৩৮০ টাকায়, তেজপাতা ১৪০ থেকে ১৬০ টাকায় , দারুচিনি ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকায়, লবঙ্গ ১০৫০ থেকে ১২০০ টাকায়, এলাচি ১০০০ থেকে ১৩০০ টাকায়, কালো গোলমরিচ ৯৫০ থেকে ১১০০ টাকায়, জয়ফল ৮০০ থেকে ১২০০ টাকায়, যত্রিক ১৪৫০ থেকে ১৫০০ টাকা, কিসমিস ৩৫০ থেকে ৫৬০ টাকায়, কাঠবাদাম ৮০০ থেকে ৯০০ টাকায়, পোস্তদানা ৭৫০ থেকে ১০০০ টাকায়, সাদা গোলমরিচ ১৪০০ থেকে ১৬২০ টাকায়, কালো এলাচ ১৯০০ থেকে ২২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
পাইকারি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মানভেদে প্রতিকেজি জিরা ৩২০ থেকে ৩৬০ টাকায়, তেজপাতা ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়, দারুচিনি ২৩০ থেকে ২৬০ টাকায়, লবঙ্গ ৮৫০ থেকে ৯৫০ টাকায়, এলাচি ৮০০ থেকে ১২০০ টাকায়, কালো গোলমরিচ ৯২০ থেকে ৯৩০ টাকায়, জয়ফল ৬০০ থেকে ৯০০ টাকায়, যত্রিক ১২৫০ থেকে ১৩০০ টাকা, কিসমিস ২৫০ থেকে ৩৬০ টাকায়, আলু বোখারা ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকায়, কাঠবাদাম ৫৯০ থেকে ৬৫০ টাকায়, পোস্তদানা ৬৫০ থেকে ৮০০ টাকায়, সাদা গোল মরিচ ১২০০ থেকে ১৩২০ টাকায়, কালো এলাচ ১৭০০ থেকে ১৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
রাজধানীর মালিবাগ, খিলগাঁও, শান্তিনগর, কাপ্তান বাজার এলাকায় ঘুরে খুচরা মশলা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপকালে তারা জানিয়েছেন, মশলার দাম খুব বেশি বাড়েনি, রোজায় পাইকারি বাজার থেকে সামান্য লাভেই বিক্রি করা হচ্ছে।
কাপ্তান বাজারের মশলা ব্যবসায়ী মেসার্স শরিয়তপুর ট্রেডার্সের সত্ত্বাধিকারী মানিক সরদার গণমাধ্যমকে বলেন, মশলার দাম খুব বেশি বাড়েনি। তবে বেশি দামে যাদের আগে কেনা ছিল তারা কম দামে বিক্রি করতে পারছে না। সমন্বয় করে বিক্রি করতে হচ্ছে।
বাংলাদেশ গরম মসলা ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি হাজী এনায়েতুল্লাহ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘রোজার আগে আন্তর্জাতিক বাজারে মশলার দাম কমেছে। ফলে দেশের বাজারেও এক দফা মশলার দাম কমেছে। দাম বাড়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই।’
নিউজবাংলা/একে
Comments
comments