Breaking News

নীলফামারীতে নারী শ্রমিক গণধর্ষনে গ্রেফতার ১

নিউজবাংলা-১৩ নভেম্বর,শুক্রবার

নাহিদ হাসান (নীলফামারী প্রতিনিধি) :
নীলফামারী উত্তরা ইপিজেডের একটি শিল্পকারখানার এক নারী শ্রমিককে গণধর্ষনের ঘটনায় আসামী ধরতে পুলিশ সাঁড়াশী অভিযান শুরু করেছে।

এরই অংশ হিসাবে বৃহ¯পতিবার (১০ নভেম্বর) রাত ১০টার দিকে গুলজার রহমান (২৫) নামের এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত গুলজার নীলফামারী সদরের সোনারায় ইউনিয়নের খয়রাতনগর গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে। তাকে গ্রেফতারের পর তার ছবি তুলে নীলফামারী সদর আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গণধর্ষিকাকে দেখালে সে তাকে চিহিৃত করে। ধর্ষিতা জানায়, এ ঘটনার সাথে চারজন জড়িত ছিল। সে তাদের দেখলে  চিনতে পারবে।নীলফামারী থানার ওসি শাহজাহান পাশা জানান গণধর্ষনের সাথে জড়িত আসামীদের গ্রেফতারে সাঁড়াশী অভিযান চলছে। তাদের মধ্যে সোনারায় ইউনিয়নের বাবুরহাটের মোবাইল ব্যবসায়ী গুলজার রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত গুলজারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের মাধ্যমে রিমান্ডে নিতে আজ শুক্রবার আবেদন করা হবে বলে জানান ওসি শাহজাহান পাশা। উল্লেখ যে নীলফামারী উত্তরা ইপিজেডের ভ্যানচুরা ব্যাগ তৈরী শিল্প প্রতিষ্ঠানের এক সংখ্যালঘু নারী শ্রমিক বুধবার রাত ৯টার দিকে ওভারটাইম শেষে ভাড়াবাসায় ফেরার পথে নীলফামারীর সোনারায় ইউনিয়নের বাবুরহাট নামক স্থানে চার যুবক তাকে আটক করে একটি বাঁশঝাড়ে নিয়ে জোড়পূর্বক একে একে গণধর্ষন করে পালিয়ে যায়। গণধর্ষিতা আত্মচিৎকারে  পথচারীরা তাকে এলাকাবাসীর সহায়তায় উদ্ধার করে সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় রাতেই থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। বৃহ¯পতিবার দুপুরে ওই তরুনী নিজে বাদী হয়ে অজ্ঞাত চার যুবককে আসামী করে নীলফামারী থানায় মামলা দায়ের করে। এ ছাড়া ডাক্তারী পরীক্ষায় গণধর্ষনের আলামত পাওয়া গেছে বলে জানায় সদর আধুনিক হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ শাহ মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন।ওই নারী শ্রমিক নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার শিমুলবাড়ি ইউনিয়নের আরাজি শিমুলবাড়ি গ্রামের দীনেশ চন্দ্র রায়ের মেয়ে। সে গত তিন মাস থেকে নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডের ভ্যানচুরা
শিল্প প্রতিষ্ঠানে নারী শ্রমিক হিসাবে কর্মরত। এ জন্য সে নীলফামারীর সোনারায় ইউনিয়নের বাবুরহাট এলাকায় বিশ্বস্বর
মাষ্টারের বাড়ির একটি রুম ভাড়া নিয়ে থাকতো।এদিকে অভিযোগ উঠেছে ইপিজেডের শিল্পকারখানাগুলোর কর্তৃপক্ষ নারী শ্রমিকদের দিয়ে জোড়পূর্বক অতিরিক্ত সময় ( ওভারটাইম) কাজ করিয়ে রাতে বাড়ি যাওয়ার জন্য ছেড়ে দেয়। ফলে ওই সব নারী
শ্রমিকরা বাধ্য হয়ে রাতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক নারী শ্রমিক বিষয়টি নিশ্চিত করে
সাংবাদিকদের বলেন মালিকপক্ষ নিজের ব্যবসায় লাভ দেখেন কিন্তু নারী শ্রমিকদের নিরাপক্তা দেননা । তারা সন্ধ্যার আগেই
তাদের ছুটে দেয়ার দাবি জানায়। এ ব্যাপারে তারা উর্ধ্বতন কর্তৃক পক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা  করেছে।

নিউজবাংলা/একে

Share This:

Comments

comments

Previous: কলাপাড়ায় পরিত্যাক্ত ভবনে ঝুকি নিয়ে স্কুলের শিক্ষা কার্যক্রম।
Next: ঠাকুরগাঁওয়ে জেলা কোচিং এসোসিয়েশনের অফিস উদ্বোধন

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*