নিউজবাংলা: ১৬ মে, সোমবার:
নাটোর প্রতিনিধিঃ
নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার জোনাইল ইউপি নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীর প্রচারণাকালে প্রার্থী ও তার সমর্থকদের উপর হামলা করেছে প্রতিপক্ষরা।
এ ঘটনায় প্রার্থীসহ চারজন আহত হয়েছেন। এর আগে রবিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে চান্দাই ইউনিয়নের গাড়ফা বাজারে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও অফিস ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, সোমবার সকালে আজিজুর রহমান ১০-১২ জন কর্মী সমর্থককে নিয়ে দ্বারিকুশী ডাঙ্গাপাড়ায় গণসংযোগে বের হন। এ সময় স্থানীয় কয়েকজন যুবক তাকে প্রচারণা চালাতে বাধা দিলে তাদের মধ্যে বিতর্ক বাধে। এক পর্যায়ে বাধাদানকারী যুবকেরা লাঠিসোটা নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের উপরে হামলা করলে চেয়ারম্যান প্রার্থী আজিজুর রহমান জনাব (৫৫), তার সমর্থক মাসুদ রানা (৩০), সাবান মোল্লা (৩২) ও নাজমুল হক (৩০) আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাদেরকে উদ্ধার করে বড়াইগ্রাম হাসপাতালে ভর্তি করে। বিএনপির আহত প্রার্থী এ ঘটনার জন্য স্থানীয় সরকারদলীয় নেতাকর্মীদের দায়ী করেছেন। তবে জোনাইল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম এ ঘটনার সাথে তাদের কোন নেতাকর্মী জড়িত নেই বলে জানান।
এদিকে, রবিবার রাতে চান্দাই ইউনিয়নের গাড়ফা বাজারে নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে গেলে আওয়ামীলীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আতাউর রহমান জিন্নাহ ও আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান খেচুর সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষ ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের কার্যালয় ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে মজনু (৪৫), আব্দুল খালেক (৪৮), বাবু (৩৫), সবুজ (২০), সাইদুল ইসলাম (৩২), মঞ্জুরুল ইসলাম (৪৮), ফরহাদ (৩৫), কালাম (৫৫) ও মখলেছ (৪০) কে বড়াইগ্রাম, চাটমোহর ও পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার সকালে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে আনিসুর রহমান খেচুর সমর্থকেরা গাড়ফা বাজারে এবং আতাউর রহমান জিন্নাহর সমর্থকেরা দিয়াড়গাড়ফা বাজারে অবস্থান নিলে এলাকায় পুনরায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয়পক্ষকে সরিয়ে দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এ ঘটনার জন্য আওয়ামীলীগ দলীয় প্রার্থী আতাউর রহমান জিন্নাহ ও বিদ্রোহী প্রার্থী আনিসুর রহমান খেচু পরস্পরকে দায়ী করেছেন।
বড়াইগ্রাম থানার ওসি মনিরুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে দুটি ঘটনাতেই পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
নিউজবাংলা/ একে
Comments
comments