নিউজবাংলা- ১৫ নভেম্বর,রবিবার:
ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামী ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের দারিদ্র্যের হার কমে ১৪ শতাংশে নামবে। ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে তার সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এজন্য তিনি বিশ্ববাসীর সহযোগিতা চেয়েছেন।
আজ রবিবার সকালে বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরামের দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নের লক্ষ্য নিয়ে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা পূরণে আমাদের সরকার সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ও কর্মসূচি নিয়ে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি- আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বাংলাদেশের বর্তমান উন্নয়ন ধারা এগিয়ে নিতে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান অব্যাহত রাখবে।
সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) পূরণে বাংলাদেশের সাফল্য তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আশা করছি- সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার মতো টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা পূরণে আমরা একইভাবে সফল হবো।”
তিনি বলেন, বিশ্বের বুকে একটি গতিশীল অর্থনীতির দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার মতো সব উপায় ও উপকরণ আমাদের রয়েছে। আমাদের লক্ষ্য অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের মাধ্যমে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উচ্চ মধ্যম-আয়ের দেশে এবং ২০৪১ সালে উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করা। উন্নয়নের এ অগ্রযাত্রায় আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগিদের পেলে আমরা আনন্দিত হবো।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি আমরা প্রতিবেশী দেশ ভারত, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে ব্যবসা বাণিজ্য ও যোগাযোগ বৃদ্ধির সুবিধার্থে এ অঞ্চলের মধ্যে অবকাঠামো উন্নয়নের কাজে হাত দিয়েছি। চারটি দেশের মধ্যে পণ্য পরিবহন শুরু হয়েছে।
তিনি জানান, এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি, জ্বালানি, বিদ্যুৎ, কৃষি, ব্যবসা-বাণিজ্য, পরিবেশ ও কারিগরি খাতে পারস্পরিক ও আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলো বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে পারে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে অগ্রগতির চিত্র তুলে তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, “১৯৯১ সালে আমাদের দারিদ্রের হার ছিল ৫৬.৭ শতাংশ। আমরা সেই দারিদ্র্যের হার ২২.৪ শতাংশে নামিয়ে এনেছি। অতি দারিদ্র্যের হার ৭.৯ শতাংশে হ্রাস পেয়েছে। এখন আমাদের লক্ষ্য ২০২১ সালের মধ্যে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা। এ সময়ে দারিদ্রের হার ১৪ শতাংশের নিচে হ্রাস করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংকের (এআইআইবি) মনোনীত প্রেসিডেন্ট জিন লিকুন, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের সহ-সভাপতি ওয়েনচাই ঝাং প্রমুখ।
দুই দিনে মোট ৬টি কর্ম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সুশাসন ও উন্নয়ন, সামাজিক সুরক্ষা, কৃষি খাদ্য নিরাপত্তা ও জলবায়ু পরিবর্তন, স্বাস্থ্য ও মানসম্মত শিক্ষা। এছাড়াও লিঙ্গ সমতাকে অর্থনৈতিক উন্নয়নের মূলধারায় আনার বিষয়টি বিশেষভাবে আলোচনায় প্রাধান্য পাবে।
নিউজবাংলা/একে
Comments
comments