নিউজবাংলা: ১৬ জুন, বৃহস্পতিবার:
পার্বতীপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি :
পার্বতীপুরের লোকোসেডের অভ্যন্তরে দীর্ঘদিন থেকে চলছে স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে ইউডিএ (উচ্চ মান সহকারী) বড় বাবুর সেচ্ছা চারিতা।
এই সেচ্ছা চারিতায় অতিষ্ট হয়ে উঠেছে দুই শত রানিং স্টাফসহ সুইপার থেকে শুরু করে এস এস এ ই পর্যন্ত প্রায় ৪শ জন লোকো স্টাফ।বিশ্বস্ত সূত্রে জানাগেছে, পার্বতীপুর রেলওয়ের ৪ লাইনের ক্র/ইঞ্জিন পরিবর্তনের জংশন ষ্টেশন। এখান থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন ছাড়ে ৪২ খানা। মালবাহী ট্রেনের সংখ্যা ৮ খানা এবং সান্টিং ইঞ্জিন বের হয় ৬ খানা। সব মিলিয়ে বিভিন্ন জেলা থেকে চাকুরীতে আসা শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় ৪’শ জন। এই ৪’শ জন স্টাফকে নিয়ন্ত্রন করে ইউডিএ (উচ্চ মান সহকারী) রেজানুর রহমানের জামাই এনায়েতুর রহমান, এস এল এম (সাব লোকো মাষ্টার), ছেলে ও তার পছন্দের স্থানীয় ৬জন স্টাফ। এদের দৌরাদ্বে সাধারণ শ্রমিক অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। জামাই বলেকথা- দীর্ঘ ৭ বৎসর যাবৎ পার্বতীপুর ইয়াড পাইলট ক্রু হিসাবে বহাল তবিয়তে থেকে সেচ্ছা চারিতার মধ্যদিয়ে কর্মকান্ড চালায় যাচ্ছে। তাদের ভয়ে মুখ খুলতে পাচ্ছে না সাধারন শ্রমিকেরা। কিছু বললেই স্থানীয় সন্ত্রাসীদের দিয়ে মারপীট করিয়ে নেয়, টাকা খরচ করে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেয়। এমন কি নিজেই ইউডিএ (উচ্চ মান সহকারী) হওয়ায় চাকুরীর কাগজ হারিয়ে ফেলার ও নষ্ট করার ভয় দেখিয়ে থাকে। এই হেডক্লাক রেজানুর রহমানের বাড়ি পার্বতীপুর ৫ নং চন্ডিপুর ইউনিয়নের কালেখা পাড়া গ্রামে। স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে একই পোষ্টে দীর্ঘ ২১ বছর যাবৎ বহাল তবিয়তে চাকুরী করে আসছে। পদউন্নতি হলেও ঐ পোষ্টে অবৈধ টাকার উৎস থাকায় পদউন্নতি নেয় না। তার কাজ যেকোন উপায়ে প্যাচে ফেলে শ্রমিকের কাছ থেকে উৎকুচ আদায় করা। এ ব্যাপারে বুধবার ১৫ জুন/১৬ দুপুরে লোকোসেডে ঊর্দ্ধতন উপসহকারী প্রকৌশলী ইনচার্জ লোকো বাংলাদেশ রেলওয়ের পার্বতীপুরের কাছে লোকবল সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, লোকবল এর সংকট থাকয় কাজের বিঘœতা সৃষ্টি হচ্ছে।
জানাযায় এই শুন্যতার সুযোগ নিয়ে রেজানুর রহমান (হেডক্লার্ক) তার বাছাই করা লোকজন কে উৎকুচের বিনিময়ে ডিউটি বন্টন করছেন। যেমন তার বাছাই করা এস এল এম মাসুম(এমজি), মিজানুর রহমান এলএম (বিজি), আব্দুর রহিম, এসএলএম (বিজি)কে সৈয়দপুর পাইলটে বুকিং দিয়ে রেখেছে দীর্ঘদিন যাবৎ। নিয়ম ছিল রোটেশন অনুযায়ী সকল এসএলএম(সাব লোকোমেটিভ মাষ্টার),এএলএম(সহকারী লোকোমেটিভ মাষ্টার),এলএম(লোকোমেটিভ মাষ্টার)দের ডিউটি পাওয়া। কিন্তু যারা মোটা অঙ্কের উৎকুচ দেয় ও তার কথামত চলে নিয়ম কানুন ছাড়াই বড়বাবু স্বেচ্ছাচারিতায় তাদেরকেই পোষ্টিং দেয়। অন্যরা কথা বললেই স্থানীয় সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দিয়ে অপমান অপদস্ত করিয়ে নেয়, এমন কি মিথ্যা দোষ ত্রুটি দেখিয়ে অন্যত্র বদলী করে দেয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক শ্রমিকদের সাথে কথা বললে তারা বলেন রেজানুর রহমান হেড ক্লার্ককে এখান থেকে বদলী করা হোক নচেৎ এই স্বেচ্ছা চারিতার অবসান ঘটবে না। এব্যাপারে বুধবার ১৫ জুন/১৬ দুপুর সাড়ে ১২ টায় তার অফিসে সাক্ষাত করতে গেলে পাঁশ বাবু বলেন, কিছুক্ষন আগে তিনি অফিস থেকে বেড়িয়ে গেছ, কখন আসবে জানিনা-অফিস চলাকালীন তাকে পাওয়া যায়নি। এই স্বেচ্ছা চারিতা ও দূর্নীতি বাজের দূর্নীতি রেল কর্তৃপক্ষ তদন্ত করলেই থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে। নচেৎ শ্রমিক হারাবে কাজের উৎসাহ, রেল হারাবে রাজস্ব।
নিউজবাংলা/ একে
Comments
comments