শিশু সামিউল আলম রাজন হত্যার ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার প্রচেষ্টার অভিযোগে জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) আলমগীর হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
সোমবার সকালে পুলিশ হেডকোয়ার্টারের এক আদেশে তাকে বরখাস্ত করা হয় বলে জানিয়েছেন সিলেট মেট্রোপলিট্রন পুলিশের এডিসি (মিডিয়া) মো. রহমতুল্লাহ। তিনি জানান, আলমগীরকে সিলেট থেকে বরখাস্ত করে রংপুর রেঞ্জে সংযুক্ত করা হয়েছে।
রাজন খুনের ঘটনার পর পুলিশের গাফিলতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে আলমগীরকে বরখাস্ত করা হয়। কমিটির রিপোর্টে বলা হয়েছে, আলমগীর হোসেনের গাফিলতির কারণেই এই হত্যা মামলার একজন আসামি কামরুল ইসলাম সৌদি আরবে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
এর আগে একই কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে বরখাস্ত করা হয় জালালাবাদ থানার এসআই জাকির হোসেন ও আমিনুল ইসলামকে। এ নিয়ে রাজন খুনের ঘটনায় তিন পুলিশ কর্মকর্তা বরখাস্ত হলেন।
রাজন হত্যার ঘটনা ফাঁস হওয়ার পরপরই অভিযোগ উঠেছিল যে, মামলার একজন অন্যতম আসামি পুলিশের সহায়তায় সৌদি আরবে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। আর নিহত রাজনের বাবা অভিযোগ করেন, শুরুতে এই ঘটনার ব্যাপারে মামলা গ্রহণ ও তদন্তে পুলিশের দিক থেকে গড়িমসি করা হয়।
৮ জুলাই সিলেট সদর উপজেলার কান্দিগাঁও ইউনিয়নের বাদেআলী গ্রামের মাইক্রোবাসচালক শেখ আজিজুর রহমানের ছেলে রাজনকে চোর অপবাদ দিয়ে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে ঘাতকরা। পরে তার লাশ গুম করার চেষ্টাকালে মুহিত আলমকেিআটক করে স্থানীয় জনতা।
রাজ খুনের ঘটনায় জালালাবাদ থানায় প্রথমে পুলিশ বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করে। পরে রাজনের বাবা শেখ আজিজুর রহমান মামলার বাদী হন।