নিউজবাংলা: ২৪ জুন, শুক্রবার:
উজ্জ্বল রায়, নড়াইল প্রতিনিধি:
নড়াইল গোহাটখোলার হোটেলগুলো সহ জেলার বিভিন্ন হাট বাজারের হোটেল রেস্তোরাগুলোতে চলছে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য তৈরি।
খাদ্য খেয়ে বিভিন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। এছাড়া অধিকাংশ হোটেলেই নেই আর্সেনিক মুক্ত পানির ব্যবস্থা। স্যানিটেশনের এ দুরাবস্থা বছরের পর বছর চলে আসলেও প্রতিকারের কোন ব্যবস্থা নেই। নড়াইল শহরে অর্ধ শতাধিক হোটেল রেস্তোরা রয়েছে বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে। এছাড়া শহরের বাইরে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বিভিন্ন হাট বাজারে রয়েছে কয়েক শতাধিক হোটেল রেস্তোরা। এসব হোটেল রেস্তোরার মধ্যে অধিকাংশই লাইসেন্স বিহীন। কর্মচারীদের নেই স্বাস্থ্য সনদ। যদিও নড়াইসদরল হাসপাতাল ও পৌর সভার স্যানিটারী অফিসাররা সঠিক অনুসন্ধান ব্যতিরেকে স্বাস্থ্য সনদ প্রদান করে থাকেন। এরপরও হোটেল রেস্তোরাগুলোতে রয়েছে অব্যব্যস্থাপনা, পঁচাবাসি খাদ্য বিক্রি যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। জেলার বেশকিছু হোটেল রেস্তোরায় সরেজমিনে দেখা গেছে সামনের দিকে কিছুটা পরিস্কার পুরিছন্ন থাকলেও পেছনে চলছে স্যাত-স্যেতে ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রান্নাসহ অন্য সব কাজ। ইতোপুর্বে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণ মাঝে মধ্যে প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতাবলে বিভিন্ন হোটেল রেস্তোরায় অভিযান চালিয়ে অব্যবস্থাপনা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি পঁচাবাসি খাদ্য পরিবেশনের অভিযোগে ১ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা আদায় করলেও বর্তমানে এসব হোটেলগুলির ব্যাপারে প্রশাসনের নেই কোন মাথা ব্যথা। যার ফলে নড়াইলের অনেক মানুষ আর্সেনিক যুক্ত পানি পান ও পঁচাবাসি খাদ্য খেয়ে পেটের পীড়ায় আক্রান্ত হচ্ছে এমন অভিযোগও রয়েছে। নড়াইল পৌর এলাকার জাহাঙ্গীর হোসেন হোটেলের নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন কয়েকদিন আগে পৌর শহরের একটি অভিজাত হোটেলে খেয়ে আমি পেটের পিড়ায় ভুগেছি। এছাড়াও অধিকাংশ হোটেলগুলোমে ক্রেতাদের সাথে করা হয় চরম দুর্ব্যবহার। এসব পচাবাসি খাদ্য সরবরাহকারী অসাধু হোটেলের মালিকদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী মানুষ। এ ব্যাপারে উপজেলা স্যানিটারী অফিস সূত্রে বলা হয়েছে, প্রমান পেলে অসাধু হোটেলের মালিকদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
নিউজবাংলা/একে
Comments
comments