Breaking News
  • শরীয়তপুরে ভুয়া চিকিৎসকের ১ বছরের কারাদন্ড
  • দক্ষিন পশ্চিমাঞ্চলের মাদক ও অস্ত্র চোরাচালান সিন্ডিকেটের গডফাদার ঝিনাইদহের রেজাউল পাঠান ২ সঙ্গী নিয়ে অস্ত্রসহ আটক !
  • আন্তর্জাতিক সংহতি দিবসে নড়াইলে মানববন্ধন ও র‌্যালি অনুষ্ঠিত
  • পঞ্চগড়ে ট্রাক চাপায় ইউপি সচিব নিহত
  • টাঙ্গাইলে অগ্নিকান্ডে ১০ দোকান পুড়ে ছাই: ১ কোটি টাকার ক্ষতি

হক্কানী পীর-মাশায়েখের ছোহবত ও হালাল খাদ্যের মাধ্যমে আত্মশুদ্ধি অর্জন করতে হবে…ছারছীনার পীর ছাহেব

নিউজবাংলা: ২১ জুন,মঙ্গলবার:

বনানী থেকে মোঃ আবদুর রহমান :

আমীরে হিযবুল্লাহ, মুজাদ্দিদে যামান ছারছীনা শরীফের পীর ছাহেব আলহাজ্ব হযরত মাওলানা শাহ্ মোহাম্মদ মোহেব্বুল্লাহ (মা.জি.আ.) বলেছেন- রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস রমজান। আমরা রমজানের দি¦তীয় দশদিন অর্থাৎ মাগফিরাতের মধ্যে আছি।

রমজানের রোজার মাধ্যমে মহান আল্লাহর কাছ থেকে নিজের গুনাহগুলোকে মাফ করিয়ে নিতে হবে। মাহে রমজান আত্মশুদ্ধি ও তাক্বওয়া অর্জনের মাস। তাক্বওয়া অর্জন করতে হলে অর্থাৎ নিজেকে পরিশুদ্ধ করতে হলে দুটি কাজ করতে হবে। একটি হলো সর্বদা হালাল খাদ্য খেতে হবে, অপরটি হলো হক্কানী আওলিয়ায়ে কেরামের সোহবতে জীবন পরীচালিত করতে হবে।

পীর ছাহেব কেবলা আরও বলেন- আমরা বিভিন্ন জন বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর্মরত আছি। আমাদের জীবন ধারণের জন্য খাদ্য খেতে হয়। তাই প্রত্যেক মুসলমানদের উচিৎ হালাল খাদ্য খাওয়া। কারণ ইবাদত কবুলের পূর্ব শর্ত হলো হালাল খাদ্য। হালাল খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে ইবাদতে স্বাদ পাওয়া যায়। অল্প ইবাদতেই আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা যায়। দেখা যায় পবিত্র রমজান মাসে আল্লাহর ভয়ে হালাল খাদ্য গ্রহণের ব্যাপারে আমরা অনেকেই সচেতন থাকি, কিন্তু রমজান মাস চলে গেলে আমরা সেই কথা একেবারেই ভুলে যাই। প্রত্যেক মুমিন মুসলমানের উচিৎ রমজানের এই প্রশিক্ষণটি কাজে লাগিয়ে হালাল খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে নেক আমলে জীবন অতিবাহিত করা।

গতকাল ২০ জুন রোজ সোমবার, বনানী খানকায়ে নেছারীয়া ছালেহিয়ায় বাংলাদেশ জমইয়তে হিযবুল্লাহ ইউনাইটেড ঢাকা কর্তৃক আয়োজিত ইফতার মাহফিলের মুনাজাতপূর্ব আলোচনায় হযরত পীর ছাহেব কেবলা একথা বলেন।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী আলহাজ্ব এ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান বলেন- আমার পিতা এই দরবারের একজন মুরীদ ছিলেন। আমিও ব্যক্তিগতভাবে এই দরবারকে ভালোবাসি এবং এই দরবারের একনিষ্ঠ খাদেম হিসেবে আজীবন খেদমত করে যেতে চাই।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জনাব আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন- ছারছীনার পীর ছাহেবের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত মাহফিলে এসে আমি অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছি। ইতোপূর্বে আমি ছারছীনা দরবার শরীফে গিয়েছিলাম। আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি ছারছীনা দরবার এদেশের মুসলমানদের সঠিক ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকে। আমি নিজেও এই দরবারের একজন আশেক হিসেবে কাজ করতে চাই। তিনি এই মাহফিলের ওছীলায় বাংলাদেশকে একটি শান্তিময় ও সমৃদ্ধির দেশে পরিণত করতে মহান আল্লাহতায়ালার নিকট অনুগ্রহ কামনা করেন।

জাতীয় সংসদের মাননীয় ডেপুটি স্পিকার জনাব আলহাজ্ব এ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়া বলেন- ছারছীনা দলীয় রাজনীতিমুক্ত একটি হক্কানী দরবার। এ দরবার মানুষকে আল্লাহমূখী জীবন গঠন করতে উদ্বুদ্ধ করে এবং ইসলামের সঠিক পথের নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ঈমান ও সততার সাথে যাতে আমরা দেশ ও দশের বিশেষকরে ইসলামের জন্য কাজ করতে পারি সেজন্যে মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া কামনা করেন।

ইফতার মাহফিলে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলদেশ সরকারের মাননীয় মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী জনাব আ.ক.ম মোজাম্মেল হক, জাতীয় সংসদের চীপ হুইপ জনাব আ.স.ম ফিরোজ, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা জনাব সালমান এফ রহমান, বাংলাদেশ জমইয়তে হিযবুল্লাহর সিনিয়র নায়েবে আমীর ও হযরত পীর ছাহেব কেবলার বড় ছাহেবজাদা আলহাজ্ব শাহ্ আবু নছর নেছারুদ্দীন আহমদ হুসাইন, জাতীয় পার্টির মহাসচিব জনাব এ.বি.এম রুহুল আমিন হাওলাদার, পিরোজপুরের সংসদ সদস্য জনাব আলহাজ্ব এ.কে.এম.এ. আউয়াল, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এয়ার ভাইস মর্শাল (অবঃ) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, আমিন মোহাম্মদ গ্রুপের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এ.এম.এম. এনামুল হক, দৈনিক ইনকিলাবের সম্পাদক আলহাজ্ব এ.এম.এম. বাহাউদ্দিন, দৈনিক ইনকিলাবের নির্বাহী সম্পাদক আলহাজ্ব কবি রুহুল আমিন খান, বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ সালাহউদ্দিন, বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছিনের মহাসচিব অধ্যক্ষ শিব্বির আহমদ মোমতাজী, বাংলাদেশ জমইয়তে হিযবুল্লাহর নাজেমে আ’লা ও হযরত পীর ছাহেব কেবলার বড় জামাতা আলহাজ্ব মির্জা নূরুর রহমান বেগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের সহকারী অধ্যপক ড. হাফেজ মাওলানা মোঃ রুহুল আমিন, সোনাকান্দা দরবার শরীফের পীর ছাহেব আলহাজ্ব মাওলানা মোঃ মাহমুদুর রহমান, বাংলাদেশ জমইয়তে হিযবুল্লাহর অতিরিক্ত নাজেমে আ’লা মাওলানা আলী আকবর, মির্জা কেফায়েতুর রহমান, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ্ব আলহাজ্ব ইসমাঈল মিঞা, দারুন্নাজাত সিদ্দিকিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আ.খ.ম আবু বকর সিদ্দিক, ছারছীনা আলিয়া মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মাওলানা রুহুল আমিন আফসারী, বাংলাদেশ জমইয়তে হিযবুল্লাহর মুবালল্লিগ মাওলানা হেমায়েত বিন তৈয়্যেব প্রমুখ।

নিউজবাংলা/ একে         

 

Share This:

Comments

comments

Previous: নড়াইলে বাল্যবিয়ের দায়ে বর-কনের পিতাসহ পুরোহিতের জেল
Next: নড়াইলে ডেইরি খামার ব্যবসায় সাফল্য সাইফুল্লাহ: চারটি গরু নিয়ে শুরু ,নয় বছরে ফার্মের গরুর সংখ্যা ৮২টি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*