নিউজবাংলা: শনিবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬:
মোঃ আবুল কাশেম, বিশ্বনাথ ( সিলেট ) প্রতিনিধি:
আগামী মঙ্গলবার ঈদুল আযহা। ইতিমেধ্য যারা কোরবানির পশু ক্রয় করেছেন তারা ছুরি-চাপাতি ক্রয় করতে শুরু করেছেন। উপজেলার বিভিন্ন বাজারে পশুর হাটের পাশাপাশি ছুরি-চাতির ব্যবসা জমে উঠছে।
এই ঈদের প্রধান অনুষঙ্গ হলো পশু কোরবানি। আর এ জন্য আগে থেকেই নিয়ে রাখতে হয় বেশ কিছু প্রস্তুতি। কোরবানির পশুর চামড়া ছাড়ানো আর মাংশ কাটার জন্য আগে থেকে কিছু প্রস্তুতি নেয়া জরুরী। কোরবানির জন্য হাতের কাছে রাখতে হয়–দাঁও, বঁটি, ছুরি, চাপাতি, কাঠের বড় টুকরা (সিলেটী ভাষায় গর্দা) ইত্যাদি।
কোরবানির ঈদ আসলে উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন জায়গায় এসব সরঞ্জাম পাওয়া যায়। মৌসুমি ব্যবসায়ীরা ফুটপাতে পসরা সাজিয়ে গরু কাটার উপকরণ বিক্রি করতে দেখা যায়। উপজেলা সদরের পুরান বাজারের গড়ে ওঠেছে ছুরি-বঁটি-চাপাতি’র বেশ কয়েকটি দোকান। এছাড়া উপজেলা সদরের বাহিরে বিভিন্ন হাট-বাজারেও পাওয়া যাচ্ছে কোরবানির পশুর মাংশ কাটার এসব উপকরণ।
গতকাল শনিবার দুপুরে উপজেলার সদরের বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখা যায়, প্রত্যেক দোকানে দামদর প্রায় একই। এসব দোকানে পশু জবাইয়ের জন্য বড় আকৃতির ছুরি বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ১৩শত টাকায়। মাঝারি আকৃতির ছুরির দাম ৫০০ থেকে ৮শত টাক। চামড়া ছাড়ানোর জন্য ছোট আকৃতির ছুরির দাম ৫০ থেকে ১৫০ টাকা।
কামারের দোকানগুলোতে চাপাতি বিক্রি হচ্ছে মানের ভিত্তিতে ৭০০ টাকা থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত। আকারভেদে বঁটি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়। বিভিন্ন মাপের পশু জবাই করার ছুরি মিলছে ৫০০ টাকা থেকে ৮০০ টাকায়, চামড়া ছোলার ছুরি ২০০ টাকা আর সাধারণটি ৩০ টাকা থেকে ১০০ টাকা। হাড় কাটার জন্য চায়নিজ কুড়াল ৪০০ থেকে ৭০০ টাকা ও বাংলাদেশি কুড়াল ৩০০ থেকে ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
নিউজবাংলা/একে
Comments
comments